পাকিস্তানের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিন শেষ করল বাংলাদেশ
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৫৮ পিএম, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ রোববার
পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে লড়ছে বাংলাদেশ। শুরুতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফলো অনের শঙ্কায় থাকলেও লিটন-মিরাজের দৃঢ়তায় সেটা পেরিয়ে গেছে টাইগাররা। মিরাজ ফিরলে ক্যারিয়ারের চতুর্থ শতকের দেখা পায় লিটন। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে তার ১৩৮ রানের ইনিংসে ভর করে ২৬২ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। আর তাতে ১২ রানের লিড পেয়েছে শান মাসুদের দল।
দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকালে ১০ রান সংগ্রহ করে দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। ৯ বলে ৬ রানে অপরাজিত ছিলেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। তৃতীয় দিনে খেলতে নেমে পেসার খুররাম শেহজাদের বোলিং তোপে মাত্র ১৬ রান যোগ করতেই ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শুধু মাত্র সাদমান ছাড়া দুই অংকের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি আর কোনো ব্যাটার।
সাদমান ১০, জাকির হাসান ১, নাজমুল হাসান শান্ত ৪, মুমিনুল হক ১, মুশফিকুর রহিম ৩ ও সাকিব আল হাসান ২ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। এরপর লিটন দাস ও মেহেদি হাসান মিরাজের ব্যাটে বিপর্যয় সামাল দেয় বাংলাদেশ। পাক বোলারদের সুযোগ না দিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন এই দুই ব্যাটার। ৮৩ বলে ফিফটি পূরণ করেন লিটন। লিটনের পর ফিফটি পূরণ মিরাজ।
১৬৫ রানের জুটি গড়েন লিটন ও মিরাজ। তবে দলীয় ১৯১ রানে হঠাৎ ছন্দপতন ঘটে মিরাজের। ১২৪ বলে ৭৮ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। তাকে আউট করে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন খুররাম। আর তাতে নতুন ইতিহাসের রচনা করেন এই লিটন-মিরাজ জুটি। ৫০ রানের নিচে ৬ উইকেট পড়ার পর টেস্ট ইতিহাসের প্রথম দেড়শ রানের জুটি এটিই।
এর আগের রেকর্ডটি ছিল ২০০৬ সালে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের আব্দুল রাজ্জাক ও কামরান আকমলের। ৩৯ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর ১১৫ রান যোগ করেছিলেন এই দুই ক্রিকেটার। এছাড়া বাংলাদেশের চেয়ে কম রানে রানে ৬ উইকেট হারিয়ে শতরানের জুটি টেস্ট ইতিহাসে আছে কেবল আর একটি। ২০০৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এনক্রুমা বনার ও জশয়া দা সিলভা পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৮ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর ১০০ রানের জুটি গড়েছিলেন।
এদিকে মিরাজের বিদায়ের পর ক্রিজে এসেই সাজঘরে ফিরে যান তাসকিন আহমেদ। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে ১৭১ বলে সেঞ্চুরি করেন লিটন। লিটনের ৪৪ টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি চতুর্থ সেঞ্চুরি। এবারের আগে টেস্টে সর্বশেষ তিন অঙ্কের ইনিংস খেলেছিলেন ২০২২ সালের মে মাসে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিরপুরে।
সেঞ্চুরির পরও পেসার হাসান মাহমুদকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন লিটন। হাসানকে সঙ্গে নিয়ে ৬৯ রানের জুটি গড়েন লিটন। তবে দলীয় ২৬২ রানে রানে আউট হন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ১৩৮ রানের ইনিংস খেলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। এরপর উইকেটে এসে প্রথম বলেই আউট হন নাহিদ রানা। তাতে ২৬২ রানে অলআউট হয় টাগাররা।