অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

মঙ্গোলিয়া সফরকালে পুতিনকে গ্রেপ্তারে মরিয়া ইউক্রেন

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৪:৩৯ পিএম, ৩১ আগস্ট ২০২৪ শনিবার  

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আগামী মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) মঙ্গোলিয়া সফরে যাচ্ছেন। এ সফরে পুতিনকে গ্রেপ্তারের আশা করছে ইউক্রেন। ভলোদিমির জেলেনস্কির সরকার ইতিমধ্যে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তিধর দেশের প্রেসিডেন্ট পুতিনকে গ্রেপ্তারে মঙ্গোলিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

একই প্রত্যাশা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি)। এ আদালত ইউক্রেন যুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের দায়ে পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গোলিয়া সফরে গেলে তাকে গ্রেপ্তার করার জন্য দেশটিকে অনুরোধ করেছে ইউক্রেন। পুতিনের মতো লোককে গ্রেপ্তারের এটি একটি বড় সুযোগ হিসেবে দেখছে কিয়েভ।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ভ্লাদিমির পুতিন একজন যুদ্ধাপরাধী। আমরা আশা করি, এই সত্যটি সম্পর্কে মঙ্গোলিয়া সচেতন। দেশটির কর্তৃপক্ষকে রাশিয়ান নেতাকে গ্রেপ্তার করার এবং নেদারল্যান্ডসের হেগে আইসিসির প্রসিকিউটরদের কাছে হস্তান্তর করার আহ্বান জানাচ্ছি।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, পুতিনকে যুদ্ধাপরাধের জন্য দায়ী করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা রয়েছে। তিনি সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনের শিশুদের বেআইনিভাবে রাশিয়ায় নির্বাসন বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

মুখপাত্র আরও বলেন, মঙ্গোলিয়ান কর্মকর্তাদের আইসিসির নিয়মকানুন মেনে চলার দায়বদ্ধতা রয়েছে। তবে এর অর্থ এই নয় যে, রাষ্ট্রীয় সফরে পুতিনকে গ্রেপ্তার করতেই হবে।

এদিকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যুতে কিয়েভের কূটনৈতিক তৎপরতা পাত্তা দিচ্ছে না ক্রেমলিন। তারা জানিয়েছে, এই সফর নিয়ে তাদের কোনো উদ্বেগ নেই। আগামী মঙ্গলবার পুতিন মঙ্গোলিয়া যাবেন। সেখানে সব কিছু স্বাভাবিক থাকবে।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ মস্কোতে সাংবাদিকদের বলেন, মঙ্গোলিয়ায় আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। তবে সব কিছু মাথায় রেখে পুতিনের সফর নির্বিঘ্ন করতে প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে রাশিয়া। প্রথম দিকে ইউক্রেন দখল যত সহজ মনে হয়েছিল তা দিন দিন ততই দুরহ হয়ে উঠছে। ইতোমধ্যে দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে উভয় দেশ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।

যুদ্ধে ইউক্রেনের শিশুদের অবৈধভাবে দেশটি থেকে সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠে। আইসিসিতে মামলা হয় পুতিনের বিরুদ্ধে। যুক্তি-তর্ক ও শুনানি শেষে অভিযোগ আমলে নিয়ে পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

এদিকে ইউক্রেনের সমর্থন প্রতি সমর্থন অব্যাহত রেখেছে পশ্চিমা জোট। আর্থিক, লজিস্টিক, অস্ত্র সহায়তা দিয়ে যুদ্ধ রাশিয়ার মাটিতে ঠেলে নিতে চাইছে। যার প্রাথমিক সফলতাও আসতে শুরু করেছে। বর্তমানে রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে দখলে নিয়ে সামনে এগোনোর লড়াই করছে ইউক্রেনের বাহিনী।