শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের দরপত্র বাতিল করলো বিসিবি
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:১৮ পিএম, ৩০ আগস্ট ২০২৪ শুক্রবার
পূর্বাচলে নির্মাণাধীন শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম 'দ্য বোট' এর দরপত্র বাতিল করেছে বিসিবি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের ১৩তম সভায় স্টেডিয়ামটি নির্মাণের দরপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেন, 'এই মুহূর্তে এত বড় একটা প্রজেক্ট... এটাতে মন্ত্রণালয়ের একটা ব্যাপার থাকে। সেখান থেকে আমরা খুব বেশি হ্যাঁও না, নাও না, আর আমাদের হাতেও খুব বেশি সময় নেই। আমাদের সবশেষ তারিখও (দরপত্রের) চলে এসেছে। সেজন্য আমাদের এটা করতে হয়েছে। যদি আমাদের পরিস্থিতি ভালো হয় এবং আমরা মনে করি, রিভাইস করে কিছু করা যায় কি না, তাহলে আমরা চেষ্টা করব নতুন করে টেন্ডার দেওয়ার জন্য। এই মাঠটি আমরা সবাই মিলে দেখতে চাচ্ছি। যে টাকাটা খরচ হয়েছে, আমরা চেষ্টা করছি, পুরোটাতো আর করা সম্ভব না। এটা অনেক বড় প্রজেক্ট ছিল। মূল নকশা ঠিক রেখে আপাতত দুইটা মাঠের কাজ শুরু করা যায় কি না। সেটি নিয়ে কথা হয়েছে। পরে স্টেডিয়াম হবে, এটা আমরা পরে বলতে পারব। যতটুকু টাকা খরচ হয়েছে সেখান থেকে যদি আমরা কিছু রিকোভারি করতে পারি, সেটা দিয়ে মাঠ করব। কনসালট্যান্সি ফার্মকে কিছু টাকা দেওয়া হয়েছে, সেখান থেকে যাতে আমরা কিছু পেতে পারি সেই বিষয়ে কথা হয়েছে।'
শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের জন্য সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বোর্ড কাজ শুরু করেছিল। তারা সরকারের কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে সাড়ে ৩৭ একর জমি গ্রহণ করেছিল। প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের অধীনে সেই জমিতেই একটি আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়ামসহ দুটি মাঠ ও পূর্ণাঙ্গ ক্রিকেট কমপ্লেক্স গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেজন্য পপুলাস নামের অস্ট্রেলিয়ান একটি প্রতিষ্ঠানকে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগও দেওয়া হয়েছিল।
এ দিকে তৃতীয় বিভাগ কোয়ালিফাইং নিয়ে ফারুক বলেছেন, 'আমরা সেটিকে ভালোভাবে চালু করার ওপরে গুরুত্ব দিয়েছি। বিগত কয়েক বছর ধরে বন্ধ হয়নি, এক-দুইটা দল অংশ নিত। আমরা সে বিষয়ে আলোচনা করেছি। কোন প্রক্রিয়ায় এটি চালু করা যায়, সেটি নিয়ে আলোচনা করেছি। এই ধরনের কোয়ালিফাইং থেকে অনেক ট্যালেন্ট আসে। এই জায়গা থেকে আমরা একটি গঠনতন্ত্র করলে আমাদের ভালো আউটপুট পাওয়া সম্ভব। আমি শুনেছি, গেল দুই বছরে অ্যাকাডেমির মাধ্যমে একটা টুর্নামেন্ট হতো। ওটা আলাদা একটা টুর্নামেন্ট। আমরা কোয়ালিফাইংটা কার্যকরভাবে চালু করব। যেখানে কেবল দুই দল খেলবে না, যারা ৫ লাখ টাকা ফিস দিয়ে খেলত। ওটা আর থাকবে না। আগের মতো ২০-২৫ হাজার টাকা ফি দিয়ে শুরু করব।'
এর বাইরে গ্রাউন্ডস ও আম্পায়ারিংয়ে উন্নতি নিয়ে কথা হয়েছে এই সভায়। সাকিব আল হাসানের বিষয়ও এসেছে আলোচনায়। ফারুক বলেছেন, 'এই বিষয় নিয়ে আমি বেশ কয়েকবার কথা বলেছি। ওখানেই আছি আমরা। সাকিবের মামলাটা কোনোদিকে না গেলে ও খেলতে পারবে, সেটি আমরা আগেই বলে দিয়েছি।' ২০২৩ বিশ্বকাপ ব্যর্থতার অপ্রকাশিত তদন্ত প্রতিবেদনও সামনে আনার বিষয়ে মত দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি।