ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে
অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:১৫ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০২৪ রোববার
ভালো ব্যবসায়ীদের ব্যবসা-বাণিজ্যে যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, তা নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে বিভাগীয় কমিশনারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, সরকার ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
গতকাল রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি এবং ব্যাংকিং সেক্টর–সবই হবে ব্যবসাবান্ধব। ব্যবসা ছাড়া একটা অর্থনীতি চলতে পারে না। এটা ছাড়া কর্মসংস্থান ও মানুষের আয়ের সংস্থান হবে না। এখানে মূল ভূমিকা রাখবে বেসরকারি খাত।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের বড় উদ্বেগ মূল্যস্ফীতি নিয়ে। জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি রোধে চাঁদাবাজি, একচেটিয়া ব্যবসা, মজুতদারি বন্ধ করা হবে। এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাজার সিন্ডিকেট দমনে সরকার কাজ করবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শুনেছি কারওয়ান বাজারেই পণ্য চারবার হাতবদল হয়। এগুলো বন্ধ করা হবে।’
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর চাঁদাবাজদের অনেকে প্রকাশ্যে নেই, নতুন করে চাঁদাবাজ তৈরি হবে না, সে নিশ্চয়তা কীভাবে পাওয়া যাবে– এমন প্রশ্নে সালেহউদ্দিন বলেন, ‘আমার কাছে অনেক প্রতিবেদন আসছে। চাল কিনবে চাতাল থেকে, এক গ্রুপ চাঁদা নিয়ে চলে গেছে, আরেক গ্রুপ এসে আবার চাঁদা দাবি করেছে।’
এ ক্ষেত্রে সরকার কী করছে– তার জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে বিভাগীয় কমিশনারদের বলা হয়েছে খোঁজখবর নিতে, যাতে ভালো ব্যবসায়ীরা বাধাপ্রাপ্ত না হন। আমি জানি, এক গোষ্ঠী গেলে, নতুন আরেক গোষ্ঠী আসবে। চাঁদাবাজি হয়, একটা ট্রাক ঢাকা পর্যন্ত আসতে ৭ হাজার টাকা লাগে, কেউ একজন আমাকে বলেছিলেন। তবে এটা কিন্তু বাণিজ্য কিংবা অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নয়। এগুলো বন্ধ করা যাদের দায়িত্ব, তাদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি।’
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে খোলাবাজারে দ্রুত পণ্য বিক্রি শুরু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এক কোটি পরিবারের তালিকা প্রণয়নে ত্রুটি থাকতে পারে। কিন্তু সে কারণে এখন হঠাৎ করে বিক্রি বন্ধ করে দিলে অনেক সাধারণ মানুষ ভুক্তভোগী হবে।
এর আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, দ্রব্যমূল্যের বিষয়টি উৎপাদন ও সরবরাহের সঙ্গে সম্পর্কিত। দেশে কোনো পণ্যের উৎপাদন কম হলে, যতটা সম্ভব আমদানি করতে হবে। সাধারণ মানুষ যেন চাপে না পড়ে, তা নিশ্চিত করা হবে। সরকারের প্রথম অগ্রাধিকার জিনিসপত্রের দাম কমানো।
এলডিসি উত্তরণের ক্ষেত্রে সময় চাওয়া হবে কিনা– জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি অনেক বড় বিষয়। এখনই এ নিয়ে কিছু বলা যাবে না। উত্তরণের ক্ষেত্রে অনেক শর্ত আছে। বিষয়টি শুধু অর্থ-বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নয়, এর সঙ্গে অন্যান্য সংস্থারও সম্পর্ক আছে।