হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদনের জেরে আদানির শেয়ারে বড় ধস
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৪০ পিএম, ১২ আগস্ট ২০২৪ সোমবার
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিনিয়োগ গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। বিভিন্ন সময় নানা ধরনের গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে রীতিমতো আলোচনায় থাকে এটি। সংস্থাটির প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের জেরে ভারতের ধনকুবের গৌতম আদানির কোম্পানির শেয়ারে বড় ধরনের ধস নামে। এমনকি শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া’ তথা ‘সেবি’ প্রধান মাধবী পুরী বুচের পদত্যাগেরও দাবি ওঠে।
হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, গৌতম আদানির পাচার করা টাকায় অংশীদারিত্ব ছিল শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান মাধবী পুরী বুচের ও তার স্বামী ধবল বুচের ।
যে অভিযোগ তোলে হিন্ডেনবার্গ
হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ বলেছে, সেবির বর্তমান চেয়ারপার্সন মাধবী বুচ এবং তার স্বামী ধবল বুচের আদানির অফশোর কোম্পানিতে অংশীদারিত্ব রয়েছে। এর আগে শিল্পপতি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে শেয়ারের দর ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানোর অভিযোগও তুলেছিল হিন্ডেনবার্গ। আবার এরাই এই মর্মে পোস্ট করে যে, আদানিরা যে টাকা পাচার করেছে তাতে অংশীদারিত্ব রয়েছে সেবি প্রধানের।
গত বছর হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, আদানি কীভাবে কর ফাঁকি দিয়ে ভুয়া কোম্পানি খুলে টাকা পাচার করেছে। সেই অভিযোগের তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল সেবির ওপরেই। হিন্ডেনবার্গ বোঝাতে চেয়েছে, যার ওপর তদন্তভার, আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে তলে তলে তারই আঁতাত।
হিন্ডেনবার্গ বলেছে, তাদের রিপোর্ট প্রকাশের পর ১৮ মাস পার হয়েছে, অথচ আদানির ব্যাপারে সেবি বিস্ময়কর ভাবে নিশ্চুপ। কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
হিন্ডেনবার্গের দাবি, মাধবী বুচ ও তার স্বামী মরিশাস ও বারমুডার এমন সব ভুয়া বিদেশি সংস্থায় বিনিয়োগ করে রেখেছেন যেগুলোর সঙ্গে গৌতম আদানির ভাই বিনোদ আদানির প্রত্যক্ষ যোগ ছিল। এসব বিনিয়োগ করা হয়েছে ২০১৫ সালে। তার পর ২০১৭ সালে সেবির পূর্ণ সময়ের সদস্য হিসেবে নিয়োগ করা হয় মাধবী বুচকে। ওই রিপোর্টের দাবি, সেই সময়েই নজরদারি এড়াতে মাধবীর নামে থাকা সব বিদেশি বিনিয়োগ নিজের নামে করে নিয়েছিলেন ধবল।
এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে ভারত জুড়ে। অবশ্য হিন্ডেনবার্গের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন মাধবী পুরী বুচ। তার দাবি, যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং এসব তাদের চরিত্রহনন করার জন্যই করা হচ্ছে।