অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

যুক্তরাষ্ট্রে সম্পন্ন শাফিনের জানাজা, চলছে মরদেহ দেশে আনার প্রস্তুতি

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৬:৩০ পিএম, ২৭ জুলাই ২০২৪ শনিবার  

যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে শাফিন আহমেদের। জানা গেছে, দেশটির স্থানীয় সময় শুক্রবার জুমার নামাজের পর ভার্জিনিয়ার মেনাসাসে দ্বার আল নূর ইসলামিক কমিউনিটি সেন্টারে জানাজা সম্পন্ন হয় গায়কের।

জানাজায় অংশ নেন শাফিনের অসংখ্য ভতক অনুরাগীর পাশাপাশি বাংলাদেশের কমিউনিটির মানুষজন। জানা গেছে শিগগিরই গায়কের মরদেহ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা চলছে। শাফিনের কনসার্ট-এর আয়োজকরা জানিয়েছেন বিষয়টি।

এদিকে জানা গেছে, শাফিনের মরদেহ দেশে আনতে যুক্তরাষ্ট্রে উড়ে গেছেন তার স্ত্রী। সেখান থেকে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ঢাকায় ফিরবেন তিনি।

অন্যদিকের শাফিনের ছেলে আযরাফ জানিয়েছেন, বাবার মরদেহ ঢাকায় নিয়ে আসার প্রস্তুতি চলছে। কবে নাগাদ নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সেইসঙ্গে চূড়ান্ত হয়নি দাফনের বিষয়টি।

শোনা গেছে, বনানী কবরস্থানে বাবা কমল দাশগুপ্তের কবরে সমাহিত করা হবে শাফিন আহমেদকে। পাশে তার মা সংগীতশিল্পী ফিরোজা বেগমের কবর রয়েছে। তবে শাফিনপুত্র রাকিন জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় শো করতে গিয়েছিলেন শাফিন আহমেদ। গত ২০ জুলাই সেখানকার একটি স্টেজ শোয়ে গান করার কথা ছিল তার। ফলে দর্শক আসনে যখন শ্রোতারা গায়কের অপেক্ষায় তখন মঞ্চের এলইডি পর্দায় ভেসে ওঠেন হাসপাতালে থাকা শাফিন। শ্রোতাদের উদ্দেশে কথা বলেন ভিডিও বার্তায়। মৃত্যুর আগে সেটিই ছিল শ্রোতাদের উদ্দেশে গায়কের শেষ বার্তা।

ওই বার্তায় শাফিন বলেন, ‘আজকে কনসার্টে আপনাদের সাথে দেখা হওয়ার কথা ছিল। তবে শারীরিক কিছু লক্ষণের জন্য আমি একটু মেডিকেল চেকআপ করতে আসি। মেডিকেল চেকআপ করতে এসে হাসপাতালের চিকিৎসকদের নির্দেশ অনুযায়ী সময় লাগছে। তাই হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চেকআপ করতে হচ্ছে।’

এরপর বলেন, ‘আপনারাও দেখতে পাচ্ছেন, এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি আছি। আপনাদের সাথে হয়তো আজকে আর দেখা হচ্ছে না। দুঃখিত আমার সব শ্রোতা এবং ভক্তদের কাছে, একই সঙ্গে আয়োজকদের কাছেও। আগামীতে নিশ্চয় আপনাদের সাথে দেখা হবে। আমি আশা করব আপনাদের সাথে দেখা হবে। ধন্যবাদ।’

কিন্তু দর্শকের সঙ্গে আর দেখা হয়নি শাফিনের। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার সেন্তরা হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।