বরিশালে অধিকাংশ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে
অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:০৭ পিএম, ২৬ জুলাই ২০২৪ শুক্রবার
বরিশাল বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ১২টি পয়েন্টের মধ্যে ১০টি পয়েন্টের নদীর পানি সকাল থেকে জোয়ারের সময়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আবার ভাটার সময় নেমে যাচ্ছে।
এছাড়া আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল ১০টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তাজুল ইসলাম জানান, পূর্ণিমা ও উজানের পানির চাপে বেশ কিছু নদীর পানি বেড়েছে। তবে দক্ষিণাঞ্চলে এখন পর্যন্ত বন্যার কোনো প্রভাব নেই। নদ-নদীর যে পরিমাণ পানি বৃদ্ধি পেয়েছে তা মৌসুমের স্বাভাবিক পরিস্থিতি। এই অঞ্চলের নদীর গভীরতা ও প্রস্থ বড় হওয়ায় এর পানি ধারণ ক্ষমতা বেশি।
তিনি আরো জানান, বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বিকাল ৬টার দিকে ভোলার দৌলতখানের মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮৯ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিনে মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ১০৭ সেন্টিমিটার, ভোলা খেয়াঘাট সংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
এছাড়া বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার, ঝালকাঠিতে বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার, বরগুনার বেতাগীতে বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার, বরগুনায় বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটার বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার, মির্জাগঞ্জের বুড়িশ্বর/পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার, পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ও উমেদপুরে কচা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় বলে জানান তিনি।