শিথিল কারফিউতে তীব্র যানজট, জনভোগান্তি
অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৪৮ পিএম, ২৫ জুলাই ২০২৪ বৃহস্পতিবার আপডেট: ০১:৫২ পিএম, ২৫ জুলাই ২০২৪ বৃহস্পতিবার
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে টানা এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর বুধবার থেকে খুলেছে অফিস-আদালত। গত দিনের মতো আজ বৃহস্পতিবারও ৪ ঘণ্টার শিডিউলে চলছে সব অফিসিয়াল কার্যক্রম। আর এজন্য সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৭ ঘণ্টার জন্য শিথিল করা হয়েছে দেশব্যাপী চলমান কারফিউ। এই সুযোগে সীমিত পরিসরে হলেও স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে নগরজীবন। তবে, ভোগান্তির বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সড়কগুলোতে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ।
মাত্র চার ঘণ্টার শিডিউলে সরকারি-বেসরকারি অফিস চালু হওয়ায় সকাল থেকে রাজধানীর সড়কগুলোতে অফিসগামী মানুষের ব্যস্ততাই চোখে পড়েছে বেশি। তাছাড়া অতি প্রয়োজনীয় কাজ সারতে পথে নামে অন্যান্য পেশাজীবীরাও। সকাল ১০টায় কারফিউ শিথিল হলেও তার বেশ আগ থেকেই শুরু হয় যান চলাচল। এরপর বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ। কিন্তু কারফিউ চলার কারণে স্বাভাবিক দিনগুলোর তুলনায় গণপরিবহন কম থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। আর নাগরিকদের নিরাপত্তায় বিভিন্ন স্পটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্ট এ ভোগান্তিতে যোগ করেছে বাড়তি মাত্রা; যানজটে পড়ে সময়মতও কর্মস্থলে পৌঁছাতে পারছেন না অনেকেই।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কারের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনকারীরা। শুক্রবারও তাদের একই কর্মসূচি ছিল। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সারাদেশে জ্বালাও পোড়াও, সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ, সরকারি স্থাপনায় আগুন দেওয়াসহ সারাদেশে সহিংসতা ও নাশকতা চালায় দুর্বৃত্তরা।
এই নাশকতা ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে গত শুক্রবার রাত ১২টা থেকে সারাদেশে কারফিউ জারি করে সেনাবাহিনী মাঠে নামায় সরকার। এরপরেই সারাদেশে বাস, ট্রেন ও লঞ্চসহ সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তিনদিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু স্বাভাবিক জীবনযাপন ফেরাতে গতকাল বুধবার থেকে ৪ ঘণ্টার অফিস টাইম নির্ধারণ করে ৭ ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিলের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
তবে শিথিল কারফিউতে কর্মস্থলে যোগদানের জন্য বেরিয়েই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে মানুষকে। রাজধানীর কাওরানবাজার, বাড্ডা, সায়েদাবাদ, রামপুরা, নর্দা, মিরপুর, পল্টনসহ প্রায় সব এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে। যানজটের কারণে এসব এলাকার সড়কে দেখা দিয়েছে ধীরগতি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তেজগাঁও জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) হাশিস কুমার দাস জানান, অফিস-আদালত খুলে দেওয়ায় সকাল থেকেই সড়কে প্রচুর যানবাহনের চাপ রয়েছে। এছাড়া সেনাবাহিনীর সদস্যরা জায়গায় জায়গায় গাড়ি চেক করার কারণেও যানবাহনের ধীরগতি দেখা গেছে।