টিএসসিতে পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেডে ছত্রভঙ্গ শিক্ষার্থীরা
অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:১৪ পিএম, ১৭ জুলাই ২০২৪ বুধবার আপডেট: ০৪:২০ পিএম, ১৭ জুলাই ২০২৪ বুধবার
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের একটি দল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের গেট থেকে বেরিয়ে টিএসসি পর্যন্ত আসে। সেখানে দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়েন। সাউন্ড গ্রেনেডের প্রচণ্ড শব্দে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান আন্দোলনকারীরা। এরপর তারা ভিসি চত্বর, মল চত্বরসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নেন।
বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে টিএসসিতে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সব আবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে ঢাবি কর্তৃপক্ষের নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করেছে আন্দোলনকারীরা। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনের সামনে আন্দোলনকারীরা সমবেত হয়ে হল না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সার্জিস আলম বলেন, দেশে কোনো মহাদুর্যোগ বা এ রকম কিছু চলছে না। শিক্ষার্থীরা যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করছেন। হল ছাড়তে শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দেওয়ার মানে হলো আন্দোলন নষ্ট করা। আমরা এমন সিদ্ধান্ত মানব না। আমরা হল ছাড়ব না। আমরা আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ যৌক্তিক আন্দোলন চালিয়ে যাব।
এর আগে মঙ্গলবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষে ৬ আন্দোলনকারী নিহত হন। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন আন্দোলনকারীরা। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের হলগুলো থেকে ছাত্রলীগ নেতানেত্রীদের বের করে দেন আন্দোলনকারীরা।
বুধবার (১৭ জুলাই) সকালে ছেলেদের বিভিন্ন হলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও শাখা নেতাকর্মীদের কক্ষে ভাঙচুর চালানোসহ তাদের জিনিসপত্র পুড়িয়ে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধরা।
গত রাতে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিতে উপাচার্যদের চিঠি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
এ প্রেক্ষাপটে বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের জরুরি সভা ডাকা হয়। সেই সভায় বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।