অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

বাজাজের সিএনজি-চালিত বাইক পাওয়া যাবে বাংলাদেশেও

সাই-টেক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৮:৫৪ পিএম, ১৪ জুলাই ২০২৪ রোববার  

বিশ্বের প্রথম সিএনজি-চালিত মোটরসাইকেল এনেছে বাজাজ। ভারতের বাজারে এই বাইকের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। এশিয়ার অন্যান্য দেশের মোটরসাইকেলপ্রেমীরা এই বাইক কেনার জন্য মুখিয়ে আছেন। বাংলাদেশের তরুণরাও এই বাইক কিনতে চান বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাদের জন্য সুখবর!   

ভারতে তৈরি সিএনজি বাইক ছয়টি দেশে রফতানি করতে চলেছে বাজাজ। এই ছয়টি দেশের তালিকায় বাংলাদেশও আছে।

বাজাজ বাংলাদেশে সিএনজি-চালিত মোটরসাইকেল রফতানি করে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে।   

বাজাজের সিএনজি-চালিত মোটরসাইকেল একটি হাইব্রিড ইঞ্জিনের। এতে গ্যাসের পাশাপাশি পেট্রোলও ব্যবহার করা যাবে।

ভারতের গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বাজাজ অটো ছয়টি দেশে তাদের সিএনজি-চালিত মোটরসাইকেল রফতানির উদ্যোগ নিয়েছে। এই ছয়টি দেশ হল - কলম্বিয়া, বাংলাদেশ, ইজিপ্ট, ইন্দোনেশিয়া, তানজানিয়া এবং পেরু।

এই ছয়টি দেশে সিএনজি ভালো পরিমাণে পাওয়া যায়। তবে বাজাজ স্পষ্ট করেছে, ভারতের বাজারে চাহিদা পূরণ করার পরই বাইরের দেশে রফতানি করা হবে বাইকটি।

ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশেও বাজাজের একাধিক মোটরসাইকেল বিক্রি হয়। যার মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় পালসার এবং ডিসকভার। এবার সেই লাইনআপে যোগ হতে পারে সিএনজি মোটরসাইকেল। এটি অন্যতম সেরা মাইলেজ সম্পন্ন বাইক বলে দাবি করেছে বাজাজ। মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখেই বাজারে আনা হয়েছে মোটরসাইকেলটি।

ভারতে বাজাজ সিএনজি-চালিত বাইকের দাম ৯৫ হাজার রুপি। তবে এটি বাংলাদেশে লঞ্চ হলে দামে বড় তফাত দেখা যেতে পারে। বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের একাধিক দেশে জনপ্রিয় বাজাজ অটো’র মোটরসাইকেল। বিশেষ করে আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে।

এই বাইকের নাম রাখা হয়েছে বাজাজ ফ্রিডম ১২৫। এতে রয়েছে ২ কেজি সিএনজি সিলিন্ডার এবং ২ লিটার পেট্রোল ট্যাংক। দুইরকম জ্বালানি ব্যবস্থা রয়েছে এমন বাইক এই প্রথম। সংস্থা জানিয়েছে, দুই জ্বালানিতে চালানোর জন্য একটি সুইচ বাটন মিলবে বাইকে। এছাড়াও পাবেন ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি।

বাইকের পাবেন এসএমএস ও নোটিফিকেশন অ্যালার্ট, মিলবে এলসিডি স্ক্রিন এবং এলইডি লাইটিং। তবে এই ফিচার পাওয়ার জন্য টপ ভ্যারিয়েন্ট কিনতে হবে। যার দাম ১ লাখ ১০ হাজার রুপি।

বাজাজ দাবি করছে, শুধু সিএনজিতেই ২০০ কিলোমিটারের বেশি মাইলেজ পাওয়া যাবে। সঙ্গে পেট্রোলের ট্যাংকের মাইলেজ যোগ করলে ৩৩০ কিলোমিটার রাস্তা যাবে বাইকটি।

সিএনজিতে যখন চালানো হবে তখন বাইকের সর্বোচ্চ গতি পাওয়া যাবে ৯০.৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা। আর পেট্রোল মোডে চালালে সর্বোচ্চ গতি মিলবে ৯৩.৪ কিমি প্রতি ঘণ্টা।