অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ন্যাটোর ৭৫তম শীর্ষ সম্মেলন মঙ্গলবার

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:১৪ পিএম, ৮ জুলাই ২০২৪ সোমবার  

বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর ৭৫তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন শুরু হতে চলেছে। আজ ওয়াশিংটনে শুরু হবে এ সম্মেলন। তিন দিনের এ সম্মেলনে অংশ নেবেন ৩২ সদস্য দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা। এএফপি।

ন্যাটোকে একটি বৃহৎ ও শক্তিশালী জোট হিসাবে দেখানোই এবারের সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য। তবে এমন সময় জোটের নেতারা ওয়াশিংটনে জড়ো হচ্ছেন যখন ইউক্রেন যুদ্ধে একেবারে বিধ্বস্ত এবং আটলান্টিকের উভয় পাশে মধ্যপন্থি ও উগ্র ডানপন্থিদের মধ্যে চলছে নির্বাচনি ঝড়। 

আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে সম্ভাব্য রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম বিতর্কে বিপর্যয়কর ফলের পর নিজের রাজনৈতিক জীবন নিয়ে লড়ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ন্যাটো জোটের প্রতি ট্রাম্পের অঙ্গীকার নিয়ে মিত্রদের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে। আপাতত বাইডেন নির্বাচনি প্রচার থেকে দৃষ্টি সরিয়ে সম্মেলনে যোগ দিতে আসা নেতাদের স্বাগত জানাবেন। 

উদীয়মান চীনের প্রভাব ঠেকাতে এশিয়ায় ন্যাটোর ক্রমবর্ধমান ভূমিকার গুরুত্বের বিষয়টি মাথায় রেখে অস্ট্রেলিয়া, জাপান, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ কোরিয়ার নেতাদেরও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বাইডেন। তবে সম্মেলনে নজর থাকবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ওপর। তিনি জোটের পক্ষ থেকে দৃঢ় সমর্থনের অপেক্ষায় আছেন। যদিও এবারও ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না। সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে সামষ্টিক প্রতিরক্ষাব্যবস্থার অংশ হিসাবে ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠা হয় ন্যাটো সামরিক জোটের। 

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন আক্রমণ করে রাশিয়া। এরপর কিয়েভের পক্ষে দাঁড়ায় ন্যাটোর মিত্ররা। এর মাধ্যমে ন্যাটো মূলত জোটটির প্রতিষ্ঠাকালীন লক্ষ্যেই ফিরে গেছে। রাশিয়ার ত্বরিত বিজয় ঠেকিয়ে দিয়ে পশ্চিমাদের মন জয় করে নিয়েছেন ইউক্রেনীয়রা। তবে রুশ সেনারা দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। পূর্বাঞ্চলে তারা অগ্রসর হচ্ছেন তারা। 

ন্যাটো সম্মেলনের আগে একজন ইউরোপীয় কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন, সম্মুখযুদ্ধে ইউক্রেন একটি ভঙ্গুর অবস্থায় আটকে পড়ায় এক ধরনের অস্বস্তির মধ্যেই এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেছেন, প্রাথমিক পরিকল্পনার চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন বাস্তবতায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। কারণ, ইউরোপের নিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ যুগসন্ধিক্ষণে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেছেন, রাশিয়া এখন পুরোপুরি একটি স্বস্তিকর অবস্থায় আছে। তারা মনে করছে, শেষ পর্যন্ত তারা সফল হবে।