৯৫ দেশ থেকে ভোট দিচ্ছেন ইরানি নাগরিকরা
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৩০ পিএম, ২৮ জুন ২০২৪ শুক্রবার
ইরানে আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, যা চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে।ইরানের অভিভাবক পরিষদের মুখপাত্র বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছেন, বিশ্বের ৯৫টি দেশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে। সেসব দেশে অবস্থানকারী ইরানি নাগরিকেরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।
এছাড়া, দেশের অভ্যন্তরে ৫৯ হাজার ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ভোটারেরা।
অভিভাবক পরিষদের মুখপাত্র হাদি তাহান নাজিফ বলেছেন,শুক্রবার সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ শুরু হবে। স্বাভাবিক নিয়মে ১০ ঘণ্টা ভোটগ্রহণ করা হবে। তবে প্রয়োজনে ভোট গ্রহণের সময় বাড়ানো যাবে। বিদেশে যারা ভোট দেবেন তারাও একই নিয়মের মধ্যে পড়বেন।
ইরানের সংবিধানের অভিভাবক পরিষদ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী ৮০ জনের রেকর্ড পর্যালোচনা করার পর সংবিধানের ১১৫ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ছয় জনকে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে।
এরপর এই ছয় প্রার্থী ব্যাপক নির্বাচনী প্রচারণা চালান ও টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নেন। তবে শেষ পর্যন্ত ৬ জন প্রার্থীর দুই জন অন্যদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছেন।
ভোটগ্রহণের প্রথম প্রহরেই নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি। স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় তেহরানের ইমাম খোমেনি হুসেইনিয়ায় ভোট দেন সর্বোচ্চ নেতা।
নিজের ভোট ব্যালট বাক্সে ফেলার পর সর্বোচ্চ নেতা উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন একটি আনন্দের দিন। কারণ, এদিন জনগণ আগামী কয়েক বছরের জন্য তাদের সরকার প্রধানকে নির্বাচন করবেন। ইরানের শক্তিমত্তা ও সম্মান এই নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে।
এ সময় তিনি সর্বস্তরের জনগণকে ভোট কেন্দ্রগুলোতে উপস্থিত হয়ে তাদের রায় প্রদানের আহ্বান জানান। খামেনি বলেন, আমি আশা করব ইরানি জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেবেন। ভোটপ্রদান এমন একটি কাজ যার জন্য কোনো অর্থ খরচ করতে হয় না, কিন্তু এর মাধ্যমে অনেক সুফল পাওয়া যায়। যে কাজে খরচ নেই কিন্তু অনেক সুফল তা থেকে বিরত থাকা বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
শুক্রবারের এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে মূলত চার প্রার্থীর মধ্যে। তারা হলেন, মাসুদ পেজেশকিয়ান, মোস্তফা পুরমোহাম্মাদি, সাইদ জলিলি এবং মোহাম্মদ বাকের কলিবফ।