অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

প্রাথমিক শিক্ষা পদক পাচ্ছেন ১২৬ জন

অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৬:০৭ পিএম, ২৫ জুন ২০২৪ মঙ্গলবার  

১৮ ক্যাটাগরিতে ১২৬ জনকে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। আগামী বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ৫৪ জনকে এ পদক তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাকিদের পদক পৌঁছে দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০২৩ প্রদান ও জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৪ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ২৭ জুন সকাল ১০টায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রদান এবং জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতে সম্মতি দিয়েছেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব বলেন, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহে স্ব-স্ব ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিদেরও পুরস্কৃত করা হয়। সেই সঙ্গে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক নৈপুণ্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের জন্য পদক ও সনদ প্রদানের মাধ্যমে পুরস্কৃত করা হয়। এবার তিন ক্ষেত্রে ১৮ ক্যাটাগরিতে ১২৬ জন পদক পাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে ৫৪ জন পদক গ্রহণ করবেন। বাকিদের পদক পৌঁছে দেওয়া হবে।

এবারের জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘শিশুবান্ধব প্রাথমিক শিক্ষা, স্মার্ট বাংলাদেশের দীক্ষা’।

সচিব বলেন, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ পালনের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো- বিদ্যালয়, ক্লাস্টার ও উপজেলা-থানা পর্যায় থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী, শিক্ষক, ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, কর্মচারী এবং কর্মকর্তাকে পদক ও সনদ প্রদানের মাধ্যমে তাদের কাজের স্বীকৃতি দেওয়া। ১৯৮৩ সালে বোর্ড অব গভর্নরসের সর্বাধিক পদ্ধতি প্রয়োগে শিক্ষার মানোন্নয়নে অবদানের জন্য দক্ষ শিক্ষকদের পুরস্কার প্রথা অনুমোদন পরবর্তী প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উদযাপন কার্যক্রম শুরু হয়।

ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ২০২২ সালে প্রাথমিক শিক্ষা পদক নীতিমালায় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে কয়েকটি নতুন পদক সংযোজন করে মোট ১৮ ক্যাটাগরিতে উন্নীত করা হয়। প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রদানের মূল লক্ষ্য হচ্ছে শিশুদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের মাধ্যমে নিজ সংস্কৃতির উন্নয়ন, আত্ম-উন্নয়ন, আত্ম-নির্ভরশীলতা অর্জন এবং দেশ ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজ দেশের সংস্কৃতি উন্মোচন করা।

তিনি বলেন, সরকারের সময়োপোযাগী পদক্ষেপের ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের ভর্তির হার বৃদ্ধি, শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার হ্রাস, বিদ্যালয়ের উপস্থিতি হার বৃদ্ধি এবং প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনের হার বৃদ্ধি পেয়েছে।