বেশির ভাগ মানুষ অভাবে আনন্দ করতে পারছেন না: জিএম কাদের
অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৩৩ পিএম, ১৭ জুন ২০২৪ সোমবার
জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো নেই। সিংহভাগ মানুষ অর্থনৈতিক কারণে পশু কোরবানি দিতে পারছেন না। ঈদ উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না, আনন্দ করতে পারছেন না। যাদের স্বচ্ছলতা আছে তাদের উচিত এই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানো।
সোমবার (১৭ জুন) সকালে রংপুর জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক কমপ্লেক্সে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ জামাতে আদায় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কুশল বিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুর রাজ্জাকসহ জাপার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, আমরা সবাই মিলে যদি উৎসব পালন করতে পারি। সেটিই হবে সত্যিকারের উৎসব। এককভাবে আমরা কোনো উৎসব আনন্দ করতে পারি না। আমাদেরকে সম্মিলিতভাবে, সামাজিকভাবে এবং দেশের সকল মানুষ যেন সমানভাবে ঈদ উৎসব উদযাপন করতে পারি তার জন্য সকলেরই দায়িত্ব আছে।
বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, দেশ যেন সুন্দরভাবে যাতে চলে এই প্রত্যাশায় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছেন। সামনের দিকে যেসব অসহায় গরীব মানুষ আছে তারা যেন স্বচ্ছলতা ফিরে পায়। আবার যেন আমরা সবাইকে দেশকে সম্মিলিত এগিয়ে নিতে পারি, সেটি প্রত্যাশা করছি। আমরা একটি সুন্দরম সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ চাই। যেখানে ন্যায্যতা-সমতা, সুবিচার থাকবে, কোনো বৈষম্য, অন্যায়-অবিচার থাকবে না। আমরা যেন এ ধরণের বাংলাদেশ উপহার পাই, আল্লাহর কাছে এটিই আমাদের প্রার্থনা। দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা। এ জন্য সরকারের একক ইচ্ছাকে দায়ী করছেন তিনি। বর্তমানে যেভাবে দেশ চলছে তাতে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে না। আমরা খুবই হতাশ হয়েছি এই বাজেটে। বিভিন্নভাবে যেসব সরকারি কর্মকাণ্ড হচ্ছে, তাতে সত্যিকার অর্থে জনগণের সমস্যা নিয়ে সরকার যে বিচলিত এটা মনে হচ্ছে না। তারা সরকার চালিয়ে যেতে চাচ্ছে নিজেদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার উপরে। আমরা মনে করি এর থেকে উদ্ধার পাওয়া উচিত। সরকারেরও এখানে দায়িত্বশীল ভূমিকা নেওয়া উচিত। অথবা জনগণকে এগিয়ে এসে সরকারকে এটা করতে বাধ্য করতে হবে।
জাপা চেয়ারম্যান, সেন্টমার্টিন প্রসঙ্গে শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, সেন্টমার্টিনের ব্যাপারে সরকারের অবস্থান নিয়ে দেশবাসী উদ্বিগ্ন। সরকার কি করতে চাচ্ছেন আমরা বুঝতে পারছি না। মিয়ানমার বাহিনী কতটুকু অগ্রসর হলে আমরা মনে করব তারা আমাদের ওপর আক্রমণ করছে। এটা আমাদের কাছে পরিস্কার নয়।আমাদের লোকজন সেখানে (সেন্টমার্টিন) যেতে পারছে না, সেখান থেকে বেরিয়ে আসতেও পারছে না। তাদেরকে সবসময় একটা ঝুঁকির মধ্যে থাকতে হচ্ছে। এ রকম অবস্থায় আমরা যদি এখনো মনে করি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সঠিকভাবে একটা সিদ্ধান্তে আসব, সেটা হতে পারে। কিন্তু আমাদের উচিত আমাদের শক্তি নিয়ে দাঁড়ানো। মিয়ারমারকে সেটি বুঝিয়ে দেওয়া অন্যকিছু করে তারা পার পাবে না। আমার সহজেই তাদের ছাড় দিব না, আমাদের দেশকে আমরা রক্ষা করব এবং তাদেরকে দমন করব।
পরে বিরোধীদলীয় নেতা রংপুর মহানগরীর মুন্সিপাড়া কবরস্থানে গিয়ে তার মা-বাবার এবং দর্শনা পল্লীনিবাসে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মরহুম হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের কবর জিয়ারত করেন। এ সময় তার সঙ্গে রংপুর মহানগর ও জেলা জাতীয় পার্টিসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সঙ্গে ছিলেন।