বেতন-বোনাসের দাবিতে সড়ক অবরোধ শ্রমিকদের
অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৪৯ পিএম, ১৪ জুন ২০২৪ শুক্রবার
বেতন-বোনাসের দাবিতে কুমিল্লার চান্দিনায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছিলেন পোশাকশ্রমিকরা। আজ শুক্রবার সকালে ‘ডেনিম প্রসেসিং প্লান্ট লিমিটেড’ নামে একটি গার্মেন্টসের শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেন। এতে ওই মহাসড়কের ২০ কিলোমিটারজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও মালিকপক্ষের আশ্বাসে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর সড়ক থেকে সরে যান আন্দোলনকারীরা।
ওই গার্মেন্টসের একাধিক শ্রমিক জানান, পেটের দায়ে গার্মেন্টসে চাকরি করি। এখানে সব সময় এক মাসের বেতন আটকে রাখা হয়। মাঝে মধ্যেই ৩-৪ মাসের করে বেতন আটকে রাখে। ওভারটাইমের টাকাও কেটে নেয়। ঈদের মাত্র ২ দিন বাকি থাকলেও এখনো ২ মাসের বেতন বকেয়া বাকি, বোনাসও দেয় নাই। ঈদ করবো কিভাবে? এ বিষয়ে কথা বলতে ডেনিম প্রসেসিং প্লান্ট লিমিটেডের পরিচালক আলমগীর হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে টানা দেড় ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকায় দুপাশেই অন্তত ২০ কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় ঘরমুখো যাত্রী ও চালক-শ্রমিকদের।
ফেনীর বাসিন্দা বিল্লাল হোসেন ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। যানজটে আটকে জানালেন, দুপুর ২টার মধ্যে এয়ারপোর্টে পৌঁছতে হবে। দ্রুত পৌঁছানোর জন্য প্রাইভেটকার ভাড়া নিয়ে এসেছি। কিন্তু যানজটে আটকে পড়ে চান্দিনাতেই দেড়টা বেজে গেছে। কখন পৌঁছাবো বুঝতে পারছি না। সিরাজগঞ্জ থেকে আসা গরুবাহী ট্রাকচালক আনোয়ার হোসেন জানান, গরু নিয়ে চট্টগ্রাম যাবো। প্রচন্ড রোদে যানজটে আটকে আছি। রোদে গরুগুলো অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।
চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাবের সোয়াইব জানান, আজই তাদের বেতন ও বোনাস নিশ্চিত করা হবে। অনেক চেষ্টার পর শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নিয়েছি। চান্দিনা থানা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ এ ব্যাপারে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে।
চান্দিনা-দাউদকান্দি সার্কেলের অতিরিক্ত সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) এনায়েত কবির সোয়েব জানান, যান চলাচল স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগবে। পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।