দুই সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও এক যুগ্মসচিবের এবি পার্টিতে যোগদান
অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৪২ পিএম, ১৪ জুন ২০২৪ শুক্রবার
দেশকে দেউলিয়া করতে আওয়ামী সরকার বেপরোয়া লুটপাটনীতি চালাচ্ছে এবং তা অব্যাহত রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টি। এবি পার্টিতে যোগ দেওয়া কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তার সম্মানে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ অভিযোগ করেন দলটির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বিজয়নগরস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা লে.কর্ণেল (অব.) দিদারুল আলম, লে. কর্ণেল (অব.) হেলাল উদ্দিন ও অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব এম.এম সুলতান মাহমুদ এবি পার্টিতে যোগদান করেন। তাদের যোগদানোত্তর সংবর্ধনার আয়োজন করে দলটি। দলের আহবায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু'র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা সভায় নবাগতদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক প্রফেসর ডাঃ মেজর অবঃ আব্দুল ওহাব মিনার, সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, জননেতা বিএম নাজমুল হক ও যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
যোগদানকৃতদের স্বাগত জানিয়ে পার্টির আহবায়ক সোলায়মান চৌধুরী বলেন, সরকারের দুর্নীতি ও দু:শাসনের কারণে দেশের সকল প্রতিষ্ঠান আজ অকার্যকর হয়ে পড়েছে। পুলিশ, সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের বিরাট একটা অংশ এই অনৈতিক কর্মযজ্ঞে জড়িয়ে পড়েছে। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের মধ্যে যারা সৎ, নিষ্ঠাবান ও দেশপ্রেমিক তারা বঞ্চিত, অবহেলিত ও অপমানিত হয়ে নিরুৎসাহ বোধ করছেন।
তিনি আরও বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ ক্রমশ: গভীর অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, দেশকে দেউলিয়া করতে আওয়ামী সরকার বেপরোয়া লুটপাটনীতি চালাচ্ছে এবং তা অব্যাহত রাখার জন্য আরও নির্লজ্জ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। সাবেক সেনা ও প্রশাসন কর্মকর্তাদের এবি পার্টিতে যোগদানের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন সততা ও অভিজ্ঞতার গতিশীলতা দিয়ে রাজনীতি পুণর্গঠন করতে পারলে দেশকে নতুন করে মেরামত করা সম্ভব।
মেজর (অব.) মিনার বলেন, ডামি প্রহসনমূলক সংসদ নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচনও জনগণ প্রত্যাখ্যান করে এই সরকারকে চুড়ান্ত বার্তা জানিয়ে দিয়েছে। কোন বিবেকবান নাগরিক এই সরকারকে নৈতিকভাবে সমর্থন জানাতে পারেনা। তিনি বলেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা হচ্ছেন দেশ ও বিদেশে প্রশিক্ষিত শারীরিক ও মানসিকভাবে সর্বাধিক সক্ষম নেতা যারা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে এই জাতিকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন। অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের কাছ থেকে দেশ আজ এই ক্রান্তিলগ্নে অনেক কিছু প্রত্যাশা করে। তিনি নবাগত নেতৃবৃন্দকে দলে স্বাগত জানান।