অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৪৮ পিএম, ১২ জুন ২০২৪ বুধবার  

চলমান রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই কিয়েভে একটি অতিরিক্ত প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েনের অনুমোদন দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

মঙ্গলবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, মার্কিন যুদ্ধের প্রস্তুতিকে বিপন্ন না করে কিভাবে ইউক্রেনের চাহিদার ভারসাম্য বজায় রাখা যায়- সে বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক এবং অভ্যন্তরীণ বিতর্কের পর গত সপ্তাহে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন অনুমোদিত প্যাট্রিয়ট সিস্টেমটি পোল্যান্ড থেকে আসবে এবং যেখানে এটি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত মার্কিন সেনাদের সুরক্ষার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।

‘সিস্টেমটি আগামী দিনে ইউক্রেনে কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে,’ যোগ করেন ওই কর্মকর্তারা।

প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মূলত এর উন্নত রাডার এবং মোবাইল লঞ্চারের জন্য পরিচিত। এটি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবেই বেশি কার্যকর, যদিও এগুলো বেশ দুষ্প্রাপ্য।

এটি বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল অস্ত্র, যা ইউক্রেনকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরবরাহ করছে। যার মূল্য প্রায় ১.১ বিলিয়ন ডলার। এরমধ্যে সিস্টেমের খরচ ৪০০ মিলিয়ন ডলার এবং ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য খরচ ৬৯০ মিলিয়ন ডলার।

পেন্টাগন অবশ্য তাদের হাতে থাকা প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেমের সঠিক সংখ্যা সম্পর্কে কিছুই বলেনি। তবে একজন সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, বর্তমান বিশ্বে মাত্র ১৪টি সিস্টেম মোতায়েন করা আছে।

এখন যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে ইউক্রেন এটি হাতে পাচ্ছে। এ ছাড়া ইউরোপীয় অন্য দেশগুলোর মধ্যে জার্মানি এবং নেদারল্যান্ডসের হাতে সিস্টেমটি রয়েছে।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা গত মাসে বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে রাশিয়ার চলমান ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলার আলোকে খারকিভ এবং ওডেসার মতো গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলোকে রক্ষা করার জন্য আরও প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম জরুরি প্রয়োজন বলে জোর দিয়েছিলেন।

এর প্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে ন্যাটোর সামরিক কমিটির চেয়ারম্যান রব বাউয়ার সদস্য দেশগুলোকে নিজস্ব প্রতিরক্ষা সক্ষমতা ঝুঁকির মধ্যে ফেলে হলেও ইউক্রেনকে সহায়তা করার জন্য জোর দিয়েছিলেন।