অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

প্রকাশ্যে গুলি করে শিক্ষার্থীকে হত্যা, সেই ফারাবী গ্রেপ্তার

অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৩:২২ পিএম, ৮ জুন ২০২৪ শনিবার  

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কলেজছাত্র আশরাফুর রহমান ইজাজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি ও বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা হাসান আল ফারাবী জয়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (৮ জুন) সকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।  

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে ১৬ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। নিহত ইজাজের পিতা হাজী মো. আমিনুর রহমান বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১ ও ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি জালাল হোসেন খোকা ও জেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি মো. হাসান আল ফারাবী জয়কে।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, বুধবার (৫ জুন) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণকালে একটি মিশনারি স্কুলের ভোটকেন্দ্রে লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি জালাল হোসেন ভূঁইয়ার সঙ্গে আশরাফুর রহমান ইজাজের বাদানুবাদ হয়। একপর্যায়ে ইজাজকে ভোটারের লাইন থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন জালাল। এ নিয়ে আশরাফুল রহমান ইজাজ প্রতিবাদ করেন। এসময় খোকাসহ তার সঙ্গে থাকা সহযোগীরা ইজাজকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। পরে ওই দিন সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হওয়ার পরই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

 পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহদাৎ হোসেন শোভন আনারস প্রতীক নিয়ে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হন। এসময় কলেজ পাড়া থেকে শাহদাৎ হোসেন শোভনের সমর্থনে একটি বিজয় মিছিল বের করা হয়। মিছিলে শিক্ষার্থী আশরাফুর রহমান ইজাজও ছিলেন। তবে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ছাত্রলীগ নেতা আল ফারাবী জয় তার মাথায় পরপর দুটি গুলি করেন। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান ইজাজ। জেলার নবীনগর উপজেলার বিটঘর গ্রামের ছেলে ফারাবী বাবা-মায়ের চাকরির সুবাধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কলেজপাড়ায় ভাড়া বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকেন।

অস্ত্রধারী ফারাবী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ থেকে বোটানি বিভাগে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত। তার বাবা রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর। মা রোকেয়া বেগমও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক। বোন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান বর্ষের শিক্ষার্থী।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন বলেন, নিহত ইজাজ ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলো। সে আমার নির্বাচন করেছে। পূর্ব বিরোধের জের ধরে আনন্দ মিছিলে প্রকাশ্যে গুলি করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।