‘এন ফ্যাক্টর’ নিতীশ-নাইডুই এখন তুরুপের তাস
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৫৫ পিএম, ৪ জুন ২০২৪ মঙ্গলবার
একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহর বিজেপি। যে কারণে দিল্লিতে সরকার গঠনের চাবিকাঠি আপাতত বিজেপিরই জোট (এনডিএ) শরিক ‘এন ফ্যাক্টর’ নিতীশ কুমার ও চন্দ্রবাবু নাইডুর হাতেই। ফলে এ দুজনের সমর্থন যেদিকে যাবে, তারাই দিল্লিতে সরকার গঠনের পথে অনেকটা এগিয়ে যাবে, তা স্পষ্ট।
সূত্রের খবর, প্রতিপক্ষ ইন্ডিয়া জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতার কাছাকাছি যেতেই নীতীশ কুমার ও চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করা হয়েছে জোটটির পক্ষ থেকে।
ইন্ডিয়া জোটের পক্ষে এ দুই নেতাকে বোঝানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ারকে। সূত্রের খবর, ইতোমধ্যেই নাইডু ও নিতীশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন পাওয়ার।
অন্যদিকে সরকার গঠনের জন্য নিতীশ কুমার ও চন্দ্রবাবু নাইডুর ভূমিকা এখন কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বুঝতে পেরে তৎপর হয়েছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বও। খবর অনুযায়ী, এদিন টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডুকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।
লোকসভা ভোটের ঠিক আগে শিবির বদলে এনডিএ-তে ফেরেন নিতীশ কুমার। তবে জেডিইউ নেতা কখন কার দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেন, তা আঁচ করা মুশকিল। ফলে নিতীশের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে কৌতূহল থাকছেই। ভোটের ফল প্রকাশের আগেই অবশ্য গত রোববার দিল্লিতে পৌঁছান নিতীশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকও হয় তার।
নিতীশের দিল্লি যাত্রার পর থেকেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে তার ইস্তফা দেওয়ার জল্পনাও শুরু হয়েছে। যদিও লোকসভা নির্বাচনে ইন্ডিয়া জোটের ভালো ফলের পর নিতীশ এনডিএ জোটের পক্ষেই থাকেন কিনা, সেটিই এখন বড় প্রশ্ন। জেডিইউ অবশ্য দাবি করেছে, তারা এনডিএ-তেই থাকছে।
অন্যদিকে অন্ধ্রপ্রদেশে বিধানসভা ও লোকসভা ভোটে জোট বেধেই লড়েছে চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি ও বিজেপি৷ তবে নিতীশের মতোই অতীতে এনডিএর সঙ্গ ছেড়েছেন নাইডুও। তবে টিডিপিও জানিয়ে দিয়েছে, তারা এনডিএর সঙ্গ ছাড়ছে না।
শারদ পাওয়ার এদিন জানান, বুধবার দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক ডাকা হয়েছে। তবে নিতীশ কুমার ও চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে কিনা- তা নিয়ে কিছু বলেননি পাওয়ার।