সীমান্তে হত্যাকান্ডের পেছনে অর্থনীতি একটা কারণ: ভারতীয় হাইকমিশনার
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৭:৫২ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০২০ রোববার
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যাকান্ডের প্রায় ৮৭% ঘটে রাত দশটা থেকে ভোর পাঁচটার মধ্যে এবং ৯৫ % ঘটনা বর্ডারের বাইরে হয়। সীমান্তে শুধু বাংলাদেশীরা হতাহত হয়না, ভারতেরও অনেক নাগরিক হতাহত হয়। সীমান্তে হত্যাকান্ডের পেছনের অর্থনীতি একটা কারণ।
রোববার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী এই মন্তব্য করেন।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রামে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাহউদ্দীন রেজা।
এর আগে দুপুরে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স ভবনে ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় করেন ভারতীয় হাইকমিশনার। এ সময় তিনি চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো এবং ভুটান, নেপাল উপকৃত হতে পারে জানিয়ে বলেন, এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ই লাভবান হতে পারে। বাংলাদেশ বৃহত্তর অর্থনীতি হিসেবে উদিত হচ্ছে। এ অঞ্চল ২৫০ কোটি মানুষের বাজার, চট্টগ্রাম যেখানে প্রবেশদ্বার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বাণিজ্য, সামুদ্রিক ও উৎপাদন খাত চট্টগ্রামে অগ্রগণ্য। প্রতিবেশীদের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্কের ওপর আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক উন্নয়ন নির্ভরশীল। তাই সেবা, উৎপাদন ইত্যাদি খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে বন্ধুত্বকে টেকসই করতে হবে।
সভায় চট্টগ্রামে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী, রাষ্ট্রদূতপত্নী সংগীতা দোরাইস্বামী, দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারি দীপ্তি আলংঘট, চেম্বার পরিচালক মো. আবদুল মান্নান সোহেল ও মো. এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী, অতিরিক্ত কাস্টম কমিশনার আবু নুর রশিদ আহমেদ, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার মো. সরোয়ার হোসেন, লুব-রেফ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সালাউদ্দিন ইউসুফ, বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রামের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আহমেদ আলী, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো’র পরিচালক আলতাফ হোসেন ভূঁইয়া, বিএসটিআই চট্টগ্রামের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. সেলিম রেজা উপস্থিত ছিলেন।