রাজধানীতে ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টি, ব্যাপক ভোগান্তি নগরবাসীর
অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:১১ পিএম, ২৭ মে ২০২৪ সোমবার
ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে গতকাল রোববার রাত থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চলে। সোমবার ভোরের দিক থেকে বৃষ্টির দাপট বাড়তে থাকে। এখন পর্যন্ত (বেলা ৩টা) বৃষ্টি অব্যাহত আছে। সঙ্গে সঙ্গে রয়েছে দমকা হাওয়া। অতিবৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ফলে বৃষ্টির সঙ্গে জলাবদ্ধতা ও যানবাহন সংকটের কারণে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রাজধানীবাসীকে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, সোমবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে রাজধানীতে। আজ দিনভর বৃষ্টি চলতে পারে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল অবশ্য দুর্বল হয়ে পড়েছে। আজ বেলা ১১টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ঘূর্ণিঝড়ের জন্য পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে দেওয়া ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। আবার চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে দেওয়া ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতও প্রত্যাহার করা হয়েছে। চার বন্দরেই ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রেমাল দুর্বল হলেও বৃষ্টির কোনো কমতি নেই। শুধু রাজধানী নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে এ বৃষ্টি হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ জানান, সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে রাজধানীতে। তবে একই সময়ে দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রামে, ১৬৯ মিলিমিটার।
বৃষ্টির কারণে আজ মেট্রোরেল চলাচলে সকাল থেকেই বিঘ্ন ঘটছে। সকাল ১০টা পর্যন্ত চলাচল বন্ধই ছিল। এরপর চালু হলেও চলাচল নির্বিঘ্ন নয়। নগরজীবনের যাতায়াতের এই নতুন ও জনপ্রিয় অনুষঙ্গের সমস্যার কারণে রাস্তায় প্রচুর যানজট সৃষ্টি হয়েছে। নগরীর কিছু কিছু এলাকায় পানি জমেছে।
এদিকে ভোর থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মক্ষেত্রে যাওয়া ও খেটে খাওয়া মানুষরা।
সকালে কাজের উদ্দেশে বাসা থেকে বেরিয়ে অনেকেই রাস্তায় বাস পাননি। সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশা চালকরা বৃষ্টির কারণে বাড়তি, এমনকি দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়া নিয়েছেন। কোনো কোনো এলাকায় জলাবদ্ধতার শঙ্কা থাকায় অটোরিকশার চালকরা যেতে রাজি হননি। অনেকে গণপরিবহনের অপেক্ষায় থেকে বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসে ভিজে গেছেন। এছাড়া ঢাকা দুই সিটির অনেক এলাকার চলমান বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
সবমিলিয়ে চরম ভোগান্তিতে রয়েছে ঢাকাবাসী। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৃষ্টি বন্ধ না হলে জলাবদ্ধতা পুরোপুরি কাটবে না। ফলে তাৎক্ষণিক এই ভোগান্তির অবসান হবে- এমনটা আশা করা যায় না।