ইউক্রেনে সেনা পাঠাবেন না বাইডেন
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৫৮ পিএম, ২৬ মে ২০২৪ রোববার
ক্রমবর্ধমান রুশ আগ্রাসনের মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পুনর্ব্যক্ত করেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে কোনো মার্কিন সেনা নেই। এমনকি ইউক্রেন যুদ্ধে মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হবে না বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি। শনিবার ওয়েস্ট পয়েন্টে ইউএস মিলিটারি একাডেমির স্নাতকদের সামনে কথা বলার সময় বাইডেন বলেছেন, ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর কোনো ইচ্ছা তার নেই। রোববার এনডিটিভির খবরে এ তথ্য জানা গেছে।
বাইডেন সেনা সহায়তা না দিলেও অন্যান্য সহযোগিতার কথা জানিয়েছেন। বলেছেন, ওয়াশিংটন কিয়েভে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে। সেইসঙ্গে ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীকে প্রশিক্ষণও দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেছেন, ‘ইউক্রেনের যুদ্ধে কোনো মার্কিন সেনা নেই এবং আমি এটাকে সেভাবেই রাখতে বদ্ধপরিকর। তবে আমরা ইউক্রেনের সঙ্গে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছি এবং আমরা তাদের সঙ্গেই দাঁড়াব। আমরা এমন একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি, যাকে আমি বহু বছর ধরে ভালো করেই জানি। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে উদ্দেশ করে বাইডেন বলেছেন, তিনি একজন নৃশংস অত্যাচারী। আমরা সরে যাব না, যেতে চাইও না।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুতিন তার পূর্ব ইউরোপীয় প্রতিবেশী আক্রমণ করার পরে নিশ্চিত ছিলেন যে ন্যাটো ভেঙে যাবে। তবে সেটি হয়নি। বরং বিশ্বের ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিরক্ষা জোট (ন্যাটো) আগের চেয়ে বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।
ইউক্রেনীয় বাহিনী গোলাবারুদ এবং তহবিলের ঘাটতির কারণে যুদ্ধক্ষেত্রে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হওয়ায় গত মাসে মার্কিন আইনপ্রণেতারা কিয়েভের জন্য একটি দীর্ঘ বিলম্বিত ৬১ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা চুক্তি পাশ করেছে। এরপর থেকে বাইডেন ইউক্রেনে সামরিক সহায়তার পাঁচ ধাপের সামরিক সহায়তা অনুমোদন করেছে।
এদিকে রাশিয়া খারকিভ অঞ্চলে হামলা অব্যাহত রেখেছে। বাইডেন তার বক্তব্যে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ভূমিকারও প্রশংসা করেছেন। উল্লেখ করেছেন, ওয়াশিংটন একটি যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে এবং ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের হাতে জিম্মিদের ঘরে ফিরিয়ে আনতে জরুরি পদক্ষেপ নিয়েছে।