এমপি আনারের হাড়-মাংসে হলুদ মিশিয়ে ব্যাগে ভরা হয়: হারুন
অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:০৪ পিএম, ২৩ মে ২০২৪ বৃহস্পতিবার
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে কলকাতায় হত্যার পর লাশ গুমের বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। তাকে হত্যার পর খুনিরা তার শরীরের হাড় থেকে মাংস আলাদা করে তাতে হলুদ মিশিয়ে ব্যাগে ভরে। এরপর বড় দুটি ব্যাগে ভরে সেগুলো বাহিরে ফেলে দেয়।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
ডিবিপ্রধান বলেন, তাকে হত্যার পর শরীর খণ্ড খণ্ড করা হয়। হাড় ও মাংস আলাদা করে হলুদের গুড়ো মিশিয়ে ব্যাগে ভরে ওই বাসা থেকে বের করা হয়। কোথায় খণ্ড খণ্ড মরদেহ ফেলা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, তারা দুই মাস ধরে খেয়াল রাখছে কখন আনারকে কলকাতা আনা যাবে। গত ১২ মে আনার তার বন্ধু গোপালের বাসায় যায়। সেখানে আরও দুজনকে হায়ার করা হয়। তারা ওই বাসায় আসা যাওয়া করবে। তারা হলেন— জিহাদ বা জাহিদ ও সিয়াম। মাস্টারমাইন্ড গাড়ি ঠিক করে দেন। সে কাকে কত টাকা দিতে হবে, কারা কারা হত্যায় থাকবে, কার দায়িত্ব কী হবে ঠিক করে। এরপর আমার কিছু কাজ আছে বলে ৫ থেকে ৬ জনকে রেখে ১০ মে বাংলাদেশে চলে আসেন।
সংসদ সদস্য আনারকে হত্যার পরিকল্পনা হয় দুই থেকে তিন মাস আগে জানিয়ে তিনি বলেন, তারা পরিকল্পনা করেছিল ঢাকায় হত্যা করবে। কিন্তু বাংলাদেশ পুলিশের নজরদারি ও ঢাকায় হত্যাকাণ্ডের পরে সকল হত্যার ক্লু পুলিশ বের করেছে বলেই হত্যাকারীরা কলকাতায় এমপিকে হত্যা করেছে।
ডিবিপ্রধান জানান, মাস্টারমাইন্ড আখতারুজ্জামান শাহীনের একটি বাসা গুলশানে, আরেকটি বসুন্ধরায়। এই দুই বাসাতেই অনেকদিন হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। আনারকে হত্যার নেপথ্যে রাজনীতি বা অর্থনৈতিক, যে কারণেই থাকুক না কেন হত্যাকারীরা বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে চেয়েছিল কিন্তু পারেনি। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত ২৫ এপ্রিল তারা কলকাতায় একটি বাসা ভাড়া নেয়, ৩০ এপ্রিল ওই বাসায় উঠে। যিনি হত্যার পরিকল্পনা করেছেন তিনি ও আরেকজনসহ মোট তিনজন বিমানযোগে কলকাতার ভাড়া বাসায় উঠে।