আজিজ আহমেদের নিষেধাজ্ঞা আরেকটা বিভ্রান্ত করা : ফখরুল
অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৫৭ পিএম, ২১ মে ২০২৪ মঙ্গলবার
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অনেকে খুশি হবেন যে আজিজের ( সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ) মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এসেছে। আমি মনে করি ওটা আরেকটা বিভ্রান্ত করা। আমরা সবসময় বিভ্রান্ত হচ্ছি। এরআগে র্যাবের বিরুদ্ধে সংগঠন হিসেবে হয়েছে। পুলিশের ৯ জনের বিরুদ্ধে হয়েছে। তাতে কী তাদের ভয়ংকর যাত্রা বন্ধ হয়েছে? হয়নি।
মঙ্গলবার (২১ মে) রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটেতে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। শফিউল আলম প্রধানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সভার আয়োজন করে জাগপা। সভায় সভাপতিত্ব করেন দলটির চেয়ারম্যান খন্দকার লৎফুর রহমান।
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা সবাই জানেন আজকে খবর এসেছে সাবেক সেনাপ্রধানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। কেন? দুর্নীতি এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রভাবিত করা ও জনগণের বিশ্বাস ক্ষুণ্ন করা। এটা মাত্র একটা ঘটনা এসেছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা বারবার বলেছি- আপনারা (আওয়ামী লীগ) ব্যবহার করেছেন রাষ্ট্রযন্ত্রকে। আপনারা ব্যবহার করার চেষ্টা করছেন সেনাবাহিনীকে, বিচারবিভাগ ও প্রশাসনকে। সারা দেশে একটা ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। ভয়ের রাজত্ব তৈরি করেছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফখরুল বলেন, নিজের ঘরকে যদি নিজে সামলাতে না পারি, অন্য কেউ সামাল দেবে না। নিজের শক্তি নিয়ে দাঁড়াতে হবে, নিজের শক্তি দিয়ে তাদের (আওয়ামী লীগ) পরাজিত করতে হবে।
দুনিয়া বলছে বাংলাদেশের বর্তমান শাসকগোষ্ঠী আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত— এমনটা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখন তারা এটা অস্বীকার করে। বলে ,তারা দুর্নীতি করে নাই।
এখনও বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বিএনপির হাজারের বেশি নেতাকর্মী কারাগারে রয়েছেন দাবি করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, আমাদের দেশনেত্রী কারারুদ্ধ। আমরা বারবার তাকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে পাঠানোর দাবি করছি। কিন্তু সরকার দিচ্ছে না।
উল্লেখ্য, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদকে ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট, ফরেন অপারেশন অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস অ্যাক্টের ৭০৩১ (সি) ধারার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
স্থানীয় সময় সোমবার (২০ মে) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়। এই পদক্ষেপের ফলে আজিজ আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্যরা সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন বলেও জানানো হয়েছে।