বিতর্কে মুখোমুখি হচ্ছেন বাইডেন ও ট্রাম্প
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৪৩ পিএম, ১৬ মে ২০২৪ বৃহস্পতিবার
যুক্তরাষ্ট্রে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রধান দুই প্রার্থী বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিতর্কে মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন প্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই প্রার্থী। তাদের সামনাসামনি আনছেন মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। বাইডেন ও ট্রাম্পকে মুখোমুখি বিতর্কের নিমন্ত্রণ জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। আর সিএনএনের নিমন্ত্রণে সারা দিয়েছেন দুজনই। আগামী ২৭ জুন সিএনএনের মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে এই ‘মেগা ডিবেট’। বুধবার পৃথক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সিএনএন এবং বিবিসি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের মুখোমুখি বিতর্ক দেশটির নির্বাচনি সংস্কৃতির একটি অংশ। এই বিতর্ক আয়োজনের জন্য ‘দ্য কমিশন অন প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট’ নামের একটি ফেডারেল কমিটিও রয়েছে। নভেম্বর মাসে নির্বাচনের আগেই তিনটি মুখোমুখি বিতর্কের আয়োজন করবে দ্য কমিশন অন প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট। ইতোমধ্যে সেই বিতর্কগুলোর শিডিউলও ঠিক করা হয়েছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি বলছে, ২৭ জুন জর্জিয়ার কী সুইং রাজ্যে প্রথম বিতর্কের আয়োজন করবে সিএনএন। এরপর ১০ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় বিতর্ক আয়োজন করবে এবিসি। দুই বিতর্কেই উপস্থিত থাকতে সম্মতি দিয়েছেন দুজনই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় প্রতিদ্ব›দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী বাইডেন বলেন, ‘আপনি যেমনটা বলেছিলেন ডোনাল্ড যে, যে কোনো সময়ে, যে কোনো স্থানে আপনি আমার সঙ্গে বিতর্কে আসতে প্রস্তুত, আমিও ঠিক তেমনই চাই।
সিএনএন আমাকে আগামী ২৭ জুন বিতর্কের জন্য নিমন্ত্রণ করেছে এবং আমি তা গ্রহণ করেছি।’ বাইডেনের এই পোস্টের কিছু সময় পর নিজে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করা এক বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘সিএনএন আমাকে বিতর্কের নিমন্ত্রণ জানিয়েছে এবং আমার জবাব হচ্ছে হ্যাঁ, আমি (নিমন্ত্রণ) গ্রহণ করছি এবং আমি আসব।’ ২০২০ সালের নির্বাচনে ট্রাম্প ও বাইডেনের মধ্যে ব্যাপক দ্বৈরথ এবং নির্বাচনের পর মার্কিন পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলা দুই জনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে অন্য মাত্রা দিয়েছে। আর সেই সব বিষয়ের জের ধরেই বিতর্ক করতে চাচ্ছে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো। তবে সব ঠিক হলেও এখানো কিছু বিষয় নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে মতপার্থক্য রয়ে গেছে। বাইডেন বলেছেন, তিনি জুন ও সেপ্টেম্বরে দুটি বিতর্কে অংশ নেবেন। তবে ট্রাম্প বলছেন, তিনি দুটির বেশি বিতর্ক চান।