ইরানি চলচ্চিত্র পরিচালকের ৮ বছরের কারাদণ্ড
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:২৪ পিএম, ১০ মে ২০২৪ শুক্রবার
ইরানি পরিচালক মোহাম্মদ রসৌলফকে ৮ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সামাজিক মাধ্যম ‘এক্স’-এ দেয়া এক পোস্টে নির্মাতার আইনজীবী বাবাক পাকনিয়া লিখেছেন, ইরানের ইসলামী বিপ্লব আদালত রসৌলফকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। সেই সাথে চাবুক মারা, জরিমানা এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
রাসউলফের ছবি "দ্য সিড অফ দ্য সেক্রেড ফিগ" এই মাসে কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে মূল প্রতিযোগিতায় দেখানোর কথা।
আইনজীবী উল্লেখ করেন, সাজা জারি করার মূল কারণ ছিল রসৌলফের প্রকাশ্য বিবৃতি এবং চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্র তৈরি করা, যা আদালতের মতে, ‘দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি’। সম্প্রতি ইরানি কর্তৃপক্ষ কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকে নির্মাতার সর্বশেষ সিনেমা ‘দ্য সিড অফ দ্য সেক্রেড ফিগ’ সরিয়ে নেয়ার জন্য প্রবল চাপ সৃষ্টি করে। কানে ছবিটির প্রিমিয়ার হবে এবং প্রতিযোগিতা বিভাগে লড়বে। এই ছবির প্রযোজক এবং শিল্পীদেরও হয়রানি করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল এবং দেশত্যাগে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এ বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হবে রসৌলফের সিনেমা ‘দ্য সিড অব দ্য সেক্রেড ফিগ’ এর। উৎসবের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে পাম দ’রের জন্য লড়বে ছবিটি।
‘দ্য সিড অব দ্য সেক্রেড ফিগ’ ছবির গল্প ইমান নামের এক ব্যক্তিকে ঘিরে। যিনি তেহরানের বিপ্লবী আদালতের একজন তদন্তকারী বিচারক। দেশব্যাপী রাজনৈতিক প্রতিবাদ তীব্র হওয়ার সাথে সাথে তার মনে জন্মায় অবিশ্বাস এবং সন্দেহ। এক সময় তার বন্দুক রহস্যজনকভাবে অদৃশ্য হয়ে যায়। তিনি সন্দেহ করা শুরু করেন যে স্ত্রী নাজমেহ এবং তার কন্যা রেজভান এবং সানা এই ঘটনায় জড়িত। তিনি বাড়িতে কঠোর ব্যবস্থা আরোপ করেন, যার ফলে উত্তেজনা বেড়ে যায়। ধাপে ধাপে তাদের সামাজিক রীতিনীতি ও পারিবারিক জীবনের চিত্র বদলে যায়।
প্রায় বিশ বছর ধরে সেন্সরশিপ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে আসছেন রসৌলফ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নাকি সরকারবিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছেন। এই অভিযোগে এক বছর জেলও খাটতে হয়েছিল এই নির্মাতাকে।