অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

এ জে মোহাম্মদ আলীর সম্মানে বন্ধ সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ

অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৩১ এএম, ৫ মে ২০২৪ রোববার  

সদ্য প্রয়াত সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর সম্মানে রোববার বন্ধ থাকবে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকাজ।

সকাল সাড়ে ১০টার পর আপিল বিভাগ ও বেলা ১১টার পর হাইকোর্টের কোনও বেঞ্চ বসবেন না।
 
রোববার সকালে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

তিনি বলেন, আইনজীবীরা শুধু আজ তাদের মামলা মেনশন করার সুযোগ পাবেন। মেনশনের সুবিধার্থে আপিল বিভাগ সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত ও হাইকোর্ট বিভাগ সকাল ১১ টা পর্যন্ত বসবেন।

সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চারজন বিচারপতি আপিল বিভাগের এক নম্বর বেঞ্চে বসেন। এ সময় সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী মারা যাওয়ার বিষয়টি উত্থাপন করে এক্ষেত্রে আদালতের বিচারকাজ বন্ধ থাকার রীতি তুলে ধরেন।

তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা আপিল বিভাগের বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এ জে মোহাম্মদ আলীর সম্মানে সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকে আপিল বিভাগের বিচারকাজ বন্ধ থাকবে। সকাল ১১টার পর হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকাজ বন্ধ থাকবে।

গতকাল ৪ মে বিকেলে সুপ্রিম কোর্টে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজা শেষে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।

সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। শোকবার্তায় তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।

গত বৃহস্পতিবার (২ মে) মারা যান এ জে মোহাম্মদ আলী। সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে দেশটির মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ২০০৫ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের দ্বাদশ অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার বাবা এম. এইচ. খন্দকার ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ছিলেন।

তিনি ১৯৮০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। এরপর ২০০১ সালের ২৩ অক্টোবর তিনি অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল নিযুক্ত হন। পরে ২০০৫ সালের ৩০ এপ্রিল অ্যাটর্নি জেনারেল নিযুক্ত হন। ২০০৭ সালের ২৪ জানুয়ারি অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেন। এছাড়া তিনি সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটিরও দায়িত্ব পালন করেছেন।