রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নারীকর্মীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, বিজেপি শিবিরে ধাক্কা
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:১৫ পিএম, ৩ মে ২০২৪ শুক্রবার
পশ্চিমবঙ্গের সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যটির রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগ করেছেন রাজভবনে কর্মরত এক অস্থায়ী নারীকর্মী।
বৃহস্পতিবার কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানায় চাঞ্চল্যকর এমন অভিযোগ করেছেন ওই নারী। লিখিত অভিযোগে ওই নারী জানান, চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শ্লীলতাহানি করেছেন রাজ্যপাল। একবার নয় দুবার এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন তিনি।
ঘটনাচক্রে বৃহস্পতিবার যখন এ অভিযোগ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে করা হয়েছে, এর একটু পর রাজভবনে যাওয়ার কথা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। শুক্রবার কৃষ্ণনগর, বোলপুর এবং পূর্ব বর্ধমানে জনসভা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
এদিকে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে তোলপাড় শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য রাজনীতিতে। যদিও এ বিষয়ে রাজভবনের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর ব্যাপক নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে রাজভবনের।
শ্লীলতাহানির অভিযোগ হলেও ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান বা রাজ্যপালের আইনি রক্ষাকবচ থাকায় কোনোরকম আইনি পদক্ষেপ করতে পারবে না কলকাতা পুলিশ। ভারতীয় সংবিধানের আর্টিকেল ৩৬১, ৩৬১/২ তে আইনি রক্ষাকবজ পায় রাজ্যপাল। তদন্ত পর্যন্ত তাকে কিছুই করতে পারবে না পুলিশ।
সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে ভারতের রাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে জিজ্ঞাসাবাদ, গ্রেফতারি কিংবা অভিযোগ করা সম্ভব নয়।
কলকাতার পুলিশ হেডকোয়ার্টার লালবাজার সূত্রে জানা যায়, এমন ঘটনায় আইনজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছেন পুলিশ কর্তারা। স্বাধীনতার পর পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে এমন ঘটনা প্রথম।
কয়েক বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপাল পদের সংঘাত চরমে উঠেছে। ভারতের বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি ও পশ্চিমবঙ্গের সাবেক রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সময় থেকেই রাজ্যপালদের যা আচরণ ও কাজের পদ্ধতি তা নিয়ে বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল ও সরকারের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে। রাজভবনকে কার্যত বিজেপির কার্যালয়ে পরিণত করা বা কেন্দ্রের শাসক দলের এজেন্ডা নিয়ে কাজ করার অভিযোগে বারবার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান রাজ্যপাল আনন্দ বোসও বিজেপি ঘনিষ্ঠতার অভিযোগে বারবার ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের সমালোচনার মুখে পড়েছেন।