অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

খায়রুল কবির খোকনের জামিন বহাল, মুক্তিতে বাধা নেই

অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ০১:৪৭ পিএম, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ মঙ্গলবার  

নরসিংদীতে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুই নেতা হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে খোকনের কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে আট সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও অ্যাডভোকেট মো. আক্তারুজ্জামান।

এর আগে গত মার্চ মাসে খায়রুল কবির খোকনকে জামিন দেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে তার জামিন স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। ওই আবেদনের বিষয়ে শুনানি হয় আজ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নরসিংদী ছাত্রদলের জেলা কমিটি ঘোষণার পর থেকে সংগঠনটির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান ও ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাইনুদ্দিন ভূঁইয়ার সঙ্গে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ ও সদস্য সচিব রিফাতের বিরোধ চলে আসছিল।

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রকাশ্যে নাহিদ ও রিফাতকে সমর্থন দিয়ে আসছেন। কমিটি ঘোষণার পর থেকে পদবঞ্চিতরা সাদেক ও মাইনুদ্দিনের নেতৃত্বে প্রতিবাদ মিছিল, বিক্ষোভ সমাবেশ, মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলনসহ শান্তিপূর্ণভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি ও আন্দোলন করে আসছে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ২৫ মে দুপুরে সাদেক ও মাইনুদ্দিনের নেতৃত্বে পিকআপভ্যান ও একশ মোটরসাইকেল নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতারা। বিক্ষোভ মিছিলটি চিনিশপুর বিএনপির কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিল। মিছিলটি ভেলানগর পার হয়ে চিনিশপুর সড়কে প্রবেশ করা মাত্রই পরিকল্পিতভাবে খায়রুল কবির খোকনের নির্দেশে আগে থেকে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা বিক্ষোভ মিছিলে ককটেল নিক্ষেপ করে। পরে তারা লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের ওপর হামলা করে অনেক নেতাকর্মীকে আহত করে।

এসময় সন্ত্রাসীরা সাদেকুর রহমানকে ঘেরাও করে খুব কাছ থেকে তার মাথায় গুলি করেন। এ ঘটনায় আশরাফুল নামে আরও একজনকে গুলি করা হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে জেলা হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সাদেকুর রহমান মারা যান। একদিন পর, ২৬ মে শুক্রবার সকালে অপর ছাত্রদল নেতা আশরাফুল মারা যান। পরে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়