মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেন সৌদি নারী
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:২৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ শুক্রবার আপডেট: ১১:২৯ পিএম, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ শুক্রবার
চলতি বছর মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার আসরে প্রথমবারের মতো সৌদি আরবের কোনো প্রতিনিধি অংশ নিতে পারেন। এ সপ্তাহে মিস ইউনিভার্সের আয়োজক কর্তৃপক্ষ এ কথা জানিয়েছে। সৌদি আরবের এক মডেল গত মাসের শেষের দিকে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে নির্বাচিত হয়েছেন বলে দাবি করার পর এ কথা জানিয়েছে আয়োজক সংস্থা। যদিও ওই মডেলের দাবিকে ভুয়া বলে উল্লেখ করেছে তারা।
সম্প্রতি মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশনের আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক সমন্বয়ক মারিয়া হোসে উন্ডা বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, ‘সৌদি আরব থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীকে বেছে নিতে এখন কঠোর যাচাই-বাছাইপ্রক্রিয়া চালাচ্ছে সংস্থাটি।’
উন্ডার ধারণা, মিস ইউনিভার্সের আগামী সংস্করণ শুরুর আগেই সৌদি আরবের প্রতিযোগী নির্ধারণ হয়ে যেতে পারে। আগামী সেপ্টেম্বরে মেক্সিকোতে এ প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা রয়েছে।
উন্ডার তথ্য অনুসারে, মিস ইউনিভার্সের মূল আসরে প্রতিযোগী পাঠানোর আগে সৌদি আরবে জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে প্রতিনিধি বাছাই করা হবে। কাহতানি যদি মূল প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে চান, তবে তাকে আগে জাতীয় পর্বের প্রতিযোগিতায় জয়ী হতে হবে।
গত মার্চের শেষের দিকে সৌদি মডেল রুমি আল কাহতানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে দেওয়া পোস্টে দাবি করেন, তিনি আসন্ন মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন এবং এতে তিনি সম্মানিত বোধ করছেন।
রিয়াদের বাসিন্দা ২৭ বছর বয়সী কাহতানি ওই ইনস্টাগ্রাম পোস্টের সঙ্গে নিজের কিছু ছবিও প্রকাশ করেছিলেন। সেখানে দেখা গেছে, সবুজ রঙের পোশাক পরা কাহতানি সৌদি আরবের পতাকা ধরে রেখেছেন। এর এক সপ্তাহ পর মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ একটি বিবৃতি দেয়। তারা দাবি করে, কাহতানির পোস্টটি ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর। তাদের দাবি, সৌদি আরবে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার জন্য কোনো বাছাইপ্রক্রিয়া চালানো হয়নি।
রিয়াদের বাড়িতে কাহতানির সঙ্গে এএফপির প্রতিনিধির কথা হয়। কাহতানি বলেছেন, মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের ব্যাপারে তিনি আলোচনার মধ্যে আছেন। তবে এ ব্যাপারে তিনি বিস্তারিত বলেননি।
সৌদি আরব থেকে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগী পাঠানোর মধ্য দিয়ে বোঝা যাবে, অতি রক্ষণশীল ভাবমূর্তি থেকে সরে আসার জন্য এটি সৌদি আরবের আরও একটি প্রচেষ্টা। অতি রক্ষণশীল অবস্থান থেকে সরে আসার মধ্য দিয়ে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান পর্যটক এবং বিনিয়োগকারীদের কাছে টানার চেষ্টা করছেন।
সৌদি আরব হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় অপরিশোধিত তেল রপ্তানিকারক দেশ। সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালানোসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেওয়া নিষেধাজ্ঞা ইতিমধ্যে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, ২০২২ থেকে কার্যকর হওয়া একটি আইন এখনো নারীদের জন্য বৈষম্য তৈরি করছে। বিয়ে, বিচ্ছেদ এবং সন্তান লালন-পালনের ক্ষেত্রে আইনটি বৈষম্যমূলক।