নির্বাচনের আগে পর্নোস্টারকে বিপুল অর্থ দিয়ে বিধি ভেঙেছেন ট্রাম্প?
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:১৫ পিএম, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ মঙ্গলবার
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘নির্বাচনি প্রচার থেকে আমাকে সরানোর জন্যই এ ষড়যন্ত্র চলছে; কিন্তু এভাবে আমাকে হারানো যাবে না।’ ম্যানহাটানের আদালতে সোমবার (২২ এপ্রিল) হাজিরা দিতে গিয়ে এ কথা বলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
৩৪ ফেলোনি কাউন্টে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ ২০১৬ সালে নির্বাচনের আগে পর্নোস্টার স্টরমি ড্যানিয়েলের মুখ বন্ধ করার জন্য তাকে বিপুল অর্থ দিয়েছিলেন ট্রাম্প; কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কাছে সে তথ্য গোপন রেখেছিলেন তিনি। অর্থাৎ এ তথ্য তিনি উল্লেখ করেননি।
এ মামলায় ট্রাম্পের অভিযোগ প্রমাণিত হলেও তিনি ২০২৪ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন এবং ভোটে জিতলে প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন। এ বছরও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছিলেন ড্যানিয়েল। নির্বাচনের আগে সেই অভিযোগ ধামাচাপা দিতে ড্যানিয়েলকে ঘুস দিয়ে মুখ বন্ধ করানোর চেষ্টা করেছিলেন ট্রাম্প। আদালতে সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, তথ্য গোপন রেখে ট্রাম্প অর্থ দিয়েছিলেন।
তার বক্তব্য, সেই সময় ট্রাম্পের আইনজীবী ছিলেন মিশেল কোহেন। তার হাত দিয়েই ড্যানিয়েলকে অর্থ পাঠিয়েছিলেন ট্রাম্প।
আদালতে প্রসিকিউটরের অভিযোগ, ২০১৬ সালের নির্বাচনে বেআইনি পথ অবলম্বন করেছেন ট্রাম্প। তথ্য গোপন রেখে অর্থ খরচ করে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করেছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই ট্রাম্পের আইনজীবীরা এ অভিযোগ মানতে নারাজ। তাদের পাল্টা বক্তব্য, ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা হচ্ছে।
আগামী দুই মাস ধরে আদালতে এ মামলার শুনানি চলতে পারে। সেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও উপস্থিত থাকতে হবে। ফলে নির্বাচনি জনসভায় না গিয়ে ট্রাম্পকে আদালতে হাজিরা দিতে যেতে হবে।