মোদির ৪০০ আসনের স্বপ্ন কতটা যুক্তিযুক্ত?
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:০৩ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ বৃহস্পতিবার
শুক্রবার থেকে শুরু ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। ভোটাভুটিকে কেন্দ্র করে দলীয় প্রচারে এতদিন ব্যস্ত সময় পার করেছে প্রার্থীরা। এবারের নির্বাচন ঘিরে বেশ আত্মবিশ্বাসী জনপ্রিয় দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। এমনকি নির্বাচনে ৪০০ আসন জেতার দাবিও করছে তারা।
বিজেপি নেতা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবারের লোকসভা নির্বাচনে চার শতাধিক আসন পাওয়ার কথা বলেছেন। নির্বাচনের প্রচারণায় নেমে তিনি বলেন, এবার তার জোট ৫৪৩ আসনের পার্লামেন্টে চার শতাধিক আসনে জয় পাবে। তার দল এককভাবে ৩৭০টির বেশি আসনে জয়ী হবে। তবে মোদির ৪০০ আসনের স্বপ্ন কতটা যুক্তিযুক্ত তা উঠে এসেছে আলজাজিরার বিশ্লেষণে।
জোটের অবস্থা বিবেচনায় মোদির ৪০০ আসন জেতার সম্ভাবনাকে উচ্চাভিলাষী বলে দাবি করছেন বিশ্লেষকরা। তাদের দাবি, বিজেপির আশা পূরণ হবে কিনা তা নির্ভর করছে নির্দিষ্ট একটি অঞ্চলের ওপর। সেটা হলো ভারতের দক্ষিণাঞ্চল। অনেক আগে থেকেই বিজেপির জন্য দুর্ভেদ্য বলে পরিচিত। ভারতের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশের বাস দক্ষিণের পাঁচ রাজ্য তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরালা ও তেলেঙ্গানায়। এসব রাজ্য অর্থনৈতিকভাবেও শক্তিশালী। এগুলো ভারতের জিডিপিতে ৩০ শতাংশ অবদান রাখে।
নরেন্দ্র মোদি বলে আসছেন, তার সরকার ভারতের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেছে। তথাপি ২০১৯ সালের নির্বাচনে এসব অঞ্চলের ১৩১ আসনের মধ্যে মাত্র ৩০টি পেয়েছে বিজেপি। এর মধ্যে কর্ণাটক থেকে এসেছে অধিকাংশ আসন। তামিলনাড়ু, কেরালা এবং অন্ধ্রপ্রদেশে সুবিধা করতে পারেনি দলটি। ফলে অনেক বিশেষজ্ঞের মতো, আগের নির্বাচনেরই পুনরাবৃত্তি হতে যাচ্ছে। সর্বশেষ নির্বাচনে বিজেপি ৫৪৩ আসনের ৩০৩টি পেয়েছিল। এর অধিকাংশই ভারতের উত্তরের রাজ্যগুলো থেকে এসেছে। এসব রাজ্য ঐতিহ্যগতভাবে বিজেপির শক্ত ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত।
এরই মধ্যে জানা গেছে কয়েক মাস ধরে দেশের বাইরের ভারতীয় ব্যবহারকারীদের জন্য ‘ব্লক’ অবস্থায় রয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশনের (ইসিআই) ওয়েবসাইট। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু। এতে বলা হয়, ‘প্রভাব পড়া’ সাইটগুলোর মধ্যে রয়েছে ইসিআই’র ল্যান্ডিং পেজ, এর ভোটার রেজিস্ট্রেশন পোর্টাল এবং তথ্য অধিকার সংক্রান্ত (রাইট টু ইনফরমেশন) পোর্টাল। ভারতের বাইরে থাকা ব্যবহারকারীদের জন্য ওয়েবসাইট ব্লক করার কারণ সম্পর্কে ইসিআই কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।