অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ফরাসি প্রেম, তুর্গেনেভ, ইত্যাদি... 

মালেকা পারভীন

প্রকাশিত: ১০:৫৫ এএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ শনিবার   আপডেট: ০৫:৫৮ পিএম, ২২ ডিসেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার

ঘটনা গত বছরের ১০ নভেম্বর তারিখে যেদিন আমাদের কয়েক জনের ফরাসি রাষ্ট্রদূতের বাসায় দুপুরে দাওয়াত ছিল। লাঞ্চন বা ফরাসি ভাষায় দেজোনে। বিভিন্ন সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যেসব কর্মকর্তা ফ্রান্সের  স্বনামধন্য লে’কোল নাসিওনাল দা’দমিনিস্ট্রাসিও (লে’না) থেকে ফরাসি ভাষায় ডিপ্লোমা অর্জনের সুযোগ পেয়েছেন, তাদের সাথে রাষ্ট্রদূতের পরিচিত হওয়া ছিল রোববার দুপুরের এই দাওয়াতের উদ্দেশ্য। 

আমরা পাঁচজন উপস্থিত ছিলাম। কত বিবিধ বিষয় যে মাত্র দেড় ঘন্টার আলাপ আর খাওয়া পর্বের মধ্যে আলোচিত হলো! ডিপ্লোম্যাটদের নাকি দুনিয়ার তাবৎ বিষয়ে জানা-শোনা থাকতে হয়। লাঞ্চন বা ডিনার এর টেবিলে কথাবার্তা আর আনুষ্ঠানিক আলোচনার টেবিলে যুক্তি-তর্ক, নেগোসিয়েশন যার ফরমাল নাম, সফলভাবে চালিয়ে নেওয়ার জন্য এমন সবজান্তা শমসের হতে হয়। (এই সবজান্তা শমসের এর শানে নুজুল কী আমি জানিনা। সবাইকে বলতে শুনে আমিও বলছি। জ্যাক অফ অল ট্রেডস এর বাংলা ভার্সন কিনা কে জানে। আরেকটা কথাও তো বাংলায় চালু আছে। জুতা সেলাই থেকে চন্ডি পাঠ। এটাই বেশি প্রযোজ্য আমরা যারা কূটনীতি পেশায় আছি তাদের জন্য। বিশেষ করে যখন বিদেশে বিভিন্ন দূতাবাসে পোস্টিং এ যাওয়া হয়, তখন এটি মোস্ট এপ্লিকেবল)।

যা হোক, ফরাসি লাঞ্চনে আমাদের আলোচনা শুরু হলো বাংলার ঐতিহ্যবাহী মসলিন থেকে। কত প্রাচীন কাল থেকে সূক্ষ্ম তন্তুর মসলিন কাপড় ব্যবহৃত হয়ে আসছে সে বিষয়ে বলতে গিয়ে জানা গেলো রোমান রাজত্ত্বে সিনেটর এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের গায়ে শোভা পেতো মহা মূল্যবান মসলিন। সম্প্রতি বাংলার তাঁত শিল্প এর ওপর লেখা একটি নিবন্ধে পড়েছিলাম যে প্রাচীন মিশরে ফারাওদের মমি সংরক্ষণে মসলিনের ব্যবহার দেখা যায়। এ সমস্ত বিস্ময়কর তথ্য একসময় ভূ-ভারতবর্ষে বঙ্গীয় সমতটের উর্বর সমৃদ্ধ জনপদের স্পষ্ট প্রমাণক। যুগে যুগে পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে ব্যবসায় বা মুনাফা সন্ধানী লোকজন এতদঞ্চলে হানা দিয়েছে এখানকার উঁচু মানের তাঁত বস্ত্র, কৃষি পণ্য, মশলাসহ নানাবিধ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর লোভে। আমরা এসব কথা বেশ গর্বের সাথেই বলছিলাম।

ফরাসি রাষ্ট্রদূতও আলোচনায় কিছু তথ্য যোগ করলেন তাঁর ভান্ডার থেকে। ‘তোমরা তো বছরে তিনটা ফসল উৎপাদন করো’ বলে তার মুখে ফরাসি উচ্চারণে আমন, বোরো ও খারিফ শুনে মজা পেলাম। অবাকও হলাম। অন্যদিকে, ফ্রান্সে বছরে উৎপন্ন হয় মাত্র একটি ফসল। ‘তোমাদের এর বেশি প্রয়োজনও নেই’ বলে আমরা তার দেশের বিশাল আয়তনের তুলনায় স্বল্পসংখ্যক জনসংখ্যার প্রতি নির্দেশ করলাম।

সেদিন পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর সরকারি ছুটি থাকায় ঢাকার রাস্তায় নিয়মিত ট্রাফিক জ্যাম ছিল না। ফলে যার যার বাসস্থান থেকে খুব অল্প সময়ে আমরা গুলশান-২ এ রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে পৌঁছে গিয়েছিলাম। এ বিষয় নিয়েও কথা হলো। মেট্রো রেল, ফ্লাই ওভার ইত্যাদির সম্পূর্ণ ব্যবহার ভবিষ্যতে ঢাকার ট্রাফিক জট কমাতে কতটুকু ভূমিকা রাখবে এটা নিয়ে যে যার মতো মন্তব্য করলাম। 

লাঞ্চের টেবিলে গল্পের বিষয় খাবার, সাহিত্য, ফুটবল থেকে ফ্রান্সে আমাদের অবস্থানকালীন ঘটনা কোন কিছুই বাদ গেলো না। প্যারিস নিয়ে আমি কথা বলবো অথচ প্রিয় লেখক সমারসেট মমের নাম উল্লেখ করবো না তাতো হবার নয়। ফরাসি রাষ্ট্রদূতের লাঞ্চের দাওয়াতে খুবই প্রাসঙ্গিকভাবে মমের বিখ্যাত ‘লাঞ্চন’ গল্পটির কথা বলতে হলো যেটির পটভূমি প্যারিস, বিশেষ করে উল্লেখ্য ল্যাটিন কোয়ার্টার্স নামের স্ব নামে খ্যাত এলাকা যেখানে গল্পের কথক একসময় বাস করতেন। রাষ্ট্রদূত গল্পটি সম্পর্কে অবহিত নন বলে বুঝলাম। তিনি ভালো করে নামটি শুনে নিলেন। তবে প্যারিসে জন্মগ্রহণকারী ব্রিটিশ লেখক মমের যে দক্ষিণ ফ্রান্সের কোৎ দা`জুর (ফ্রেঞ্চ রিভেএরা) অঞ্চলে একটি বিলাসবহুল ভিলা ছিল এবং সেখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন সে তথ্য তার জানা ছিল। 

এর আগে কথা প্রসঙ্গে দামি মাছ হিসেবে স্যামন এর কথা এসেছিল। রাষ্ট্রদূতের স্ত্রী জানালেন, আসলে স্যামন খুব দামি কোন মাছ নয়। তখন আমি মমের গল্পটির কথা  উল্লেখ করে বললাম যে, গল্পের প্রধান চরিত্র, এক ভোজনপ্রেমী সুচতুর মহিলার কারণে আমাদের পাঠকদের মনে এমন একটি ধারণা তৈরি হয়ে আছে। মহিলা নাকি কখনো একটির বেশি খাবার খেতে পছন্দ করেনা এবং এভাবে সে দরিদ্র লেখকের আবেগ নিয়ে খেলা করে একটি রেস্টুরেন্টে তাকে সর্বস্বান্ত করে। ক্যাভিয়ার বা মাছের ডিম, এসপারাগাস নামের সবজি, পিচ নামের ফল, অথবা মেইন কোর্স শেষে ডেজার্ট হিসেবে আইসক্রিম, সবই ওই গল্পের বদৌলতে তরুণ বয়সে জানবার সুযোগ হয়েছিল। এবং এই গল্পের সুদূরপ্রসারী প্রভাব ২৭-২৮ বছর পরে ফরাসি রাষ্ট্রদূতের দেওয়া লাঞ্চ পর্যন্ত এসে হানা দিলো। 

আমাদের আলোচনায় অবধারিতভাবে এলো ভিশি নামের মধ্য ফ্রান্সের ছোট্ট শহরটির কথা যেখানে অবস্থিত ফরাসি ভাষা শিক্ষার নামকরা প্রতিষ্ঠান কাভিলাম এ আমরা কয়েক মাস কাটিয়েছি কেবল একটি ভাষা শেখার পেছনে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে হিটলার এর জার্মান বাহিনীর সাথে তৎকালীন ফরাসি প্রধানমন্ত্রী মার্শাল পেতাঁর সরকার একটি বিতর্কিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি করে। সে সময় রাজধানী প্যারিস থেকে সরিয়ে  এই ভিশিতে আনা হয়। ওই  সময়টাকে ফরাসিরা ‘ফরাসি স্টেট’ নামে অবহিত করে এবং এখন পর্যন্ত তাদের সে সময়কার সরকারের ভূমিকার জন্য লজ্জা বোধ করে।

ফরাসি রাষ্ট্রদূতের কথাতেও সেটি পরিষ্কার হলো। আমার মনে পড়লো, ভিসিতে যে ফরাসি পরিবারের সাথে আমি প্রায় পাঁচ মাস ছিলাম, সেই পরিবারের গৃহকর্ত্রী শনতালকেও একইরকম ঘৃণাভরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পেতাঁর নাম উচ্চারণ করতে শুনেছি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ের ছাত্র নজরুল স্যার বললেন, ‘এটার আরো একটা ব্যাখ্যা দেওয়া হয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের পক্ষ থেকে। সে সময় ভিশি সরকার হিটলার বাহিনীর সাথে সম্পর্ক রেখে হয়তো আরো বেশি সংখ্যক সাধারণ মানুষ/ইহুদি নিধন ঠেকাতে ভূমিকা রেখেছে। ইত্যাদি।’ দু’পাশে মাথা নেড়ে রাষ্ট্রদূত বুঝিয়ে দিলেন, তিনি এই ব্যাখ্যা মানতে রাজি নন।

একটা করে খাবারের কোর্স শেষ হবার সাথে সাথে আলোচনার বিষয়বস্তু এবং সুরও পাল্টে যেতে থাকে। হঠাৎ কোন একটা প্রসঙ্গে শফি স্যার রাশান সাহিত্যিক ইভান তুর্গেনেভ এর প্রেম বিষয়ে কিছু একটা বলতে শুরু করেন। আরেকদিকের আলোচনায় মগ্ন থাকায় আমি গল্পটার সূত্র মিস করি। তারপরও তুর্গেনেভ এর নামের উল্লেখেই কান খাড়া হয়ে যায়। কারণ, তিনি আমার অন্যতম প্রিয় লেখক। 

তখন আরেক প্রিয় লেখক সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘নেভার’ রাধা’ শীর্ষক একটি বিখ্যাত রচনার কথা মনে পড়ে যায়। এই অমর প্রেমের কাহিনীতেও প্যারিস এর উল্লেখ আছে বলে যার সংক্ষিপ্ত ভার্সন অনেকটা এরকম-
কৈশোরে খানদানি ঘরের ছেলে ইভান তুর্গেনিয়েফের (মুজতবা আলী এমনটাই লিখেছেন) একবার শক্ত অসুখ হয়। সেরে ওঠার পর ডাক্তার তাঁকে হুকুম দেন, নেভা নদীর পাড়ে কোনো জায়গায় কিছুদিন নির্জনে থাকতে। নেভার পাড়ে জেলেদের গ্রামে তুর্গেনিয়েফ পরিবারের জমিদারি ছিল।  চাকর-বাকর নিয়ে তুর্গেনিয়েফ সেই গ্রামের এক প্রান্তে তাঁদের ছোট্ট বাঙলোয় ওঠেন। 
সেখানে কিশোর তুর্গেনিয়েফ ভালবেসে ফেলেন সাধারণ এক জেলে-কন্যাকে। অনাবিল প্রেমের সুন্দর দিনগুলো কেটে যাচ্ছিল তাঁদের। তুর্গেনিয়েফ যখন সম্পূর্ণ সেরে উঠলেন, বাড়ি থেকে হুকুম এলো প্যারিস যেতে হবে।
বিদায়ের শেষ সন্ধ্যা এল। কাজ সেরে মেয়েটি যখন ছুটে এল ইভানের কাছ থেকে বিদায় নিতে, তখন শুধু অঝোরে নীরবে কেঁদেছিল মেয়েটি। তুর্গেনিয়েফ তাঁকে বার বার স্বান্তনা দিয়ে কাঁদতে নিষেধ করছিলেন আর বলেছিলেন, “আমি তো আবার ফিরে আসব শিগগিরই। তোমার কান্না দেখে মনে হচ্ছে, তুমি ভাবছ, আমি আর কখনো ফিরে আসব না।”
তুর্গেনিয়েফ প্রেমিকার কাছে জানতে চাইলেন তাঁর জন্য প্যারিস থেকে কী নিয়ে আসবেন। কিন্তু কিছুতেই তাঁর কাছ থেকে কোন কথা বের করতে পারছিলেন না। শুধু তাঁর কাছে প্রেমিকের ফিরে আসাটুকুই সে চেয়েছিল। তুর্গেনিয়েফকে অনেকক্ষণ ধরে  পীড়াপীড়ি করতে হয়েছিল মেয়েটির কাছ থেকে কোন একটা ফরমায়েশ বের করতে। শেষটায় সে বলল, ‘তবে আমার জন্য সুগন্ধি সাবান নিয়ে এসো।’
এই সামান্য জিনিসের নাম শুনে তুর্গেনিয়েফ অবাক হলেন। কারণ, তিনি জানেন তাঁর প্রেমিকা সাজগোজ পছন্দ করো না। তাই তিনি এই সাবান চাওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করলেন। মেয়েটি কিছুতেই বলতে চাইলো না। অনেকক্ষণ জোরাজুরি করার পর বলল, ‘তুমি আমার হাতে চুমো খেতে ভালবাসো আমি জানি। আর আমার হাতে লেগে থাকে সবসময় আঁশটে গন্ধ৷ কিছুতেই ছাড়াতে পারি নে। প্যারিসের সুগন্ধি সাবানে শুনেছি সব কেটে যায়। তখন চুমো খেতে তোমার গন্ধ লাগবে না।’
অদৃষ্ট তুর্গেনিয়েফকে সে গ্রামে ফেরবার অনুমতি দেন নি আর তুর্গেনিয়েফও বুড়ো বয়স পর্যন্ত সে দুঃখ ভুলতে পারেননি। 

মুজতবা আলীর গল্প এখানেই শেষ। কিন্তু আমার গল্প শেষ হয়না। কদিন আগে ‘দ্য ইউরোপিয়ানস’ নামের একটি বইয়ের রিভিউ পড়েই রীতিমতো মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে আছি। আসল বইটা যখন পড়ার সুযোগ হবে, তখনকার অনুভূতি কেমন হতে পারে সেটা ভেবে এখনই মনে শিহরণ খেলে যাচ্ছে। কারণ, বইটির চমক-লাগানো বিষয়বস্তু। 

ঐতিহাসিক আখ্যানের মাস্টার রাইটার অরল্যান্ডো ফিজেস রচিত বইটির উপ-শিরোনাম ‘থ্রী লাইভস অ্যান্ড দ্য মেকিং অফ অ্যা কজমোপলিটান কালচার’। আর কেউ নন, স্বয়ং তুর্গেনেভ আছেন এই বইয়ের কেন্দ্রীয় চরিত্র হিসেবে আর তাঁকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে জটিল ত্রিভুজ সম্পর্কের বাকি দুই চরিত্র- প্যারিসের বিখ্যাত অপেরা গায়িকা পলিন ভিয়ারদো এবং তাঁর স্বামী লুই ভিয়ারদো।

নিজ নিজ ভুবনে প্রতিষ্ঠিত এই তিন ব্যক্তির অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে যাওয়া জীবন আর তাদেরকে ঘিরে আবির্ভূত হওয়া সমসাময়িক কালের বিভিন্ন ক্ষেত্রের স্বনামধন্য চরিত্রের সমাবেশ ঘটানোর মধ্য দিয়ে লেখক ফিজেস প্রকৃতপক্ষে উনিশ শতকের ইউরোপের সাংস্কৃতিক ইতিহাসকে পুনর্নির্মাণ করতে চেয়েছেন। সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে প্যারিস, বার্লিন থেকে লন্ডন, রোম থেকে ভিয়েনা-কন্টিনেন্টাল ইউরোপের বিভিন্ন শহরে তাঁদের নাটকীয় ঘটনাবহুল জীবন আর নিয়মিত পদচারণার প্রেক্ষাপটে দ্রুত পরিবর্তনশীল এক মহাদেশের দারুণ এক শৈল্পিক চিত্র তিনি অঙ্কন করেছেন, যে পরিবর্তনের পেছনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে ওই শতাব্দীর অভূতপূর্ব সব প্রযুক্তিগত আবিষ্কার যেমন, রেইলওয়েজ, টেলিগ্রাফ, ফটোগ্রাফি, উন্নত মুদ্রণশিল্প, পিয়ানোর ব্যাপক উৎপাদন ইত্যাদি।

যা হোক, নেভা নদীর পাড়ে প্রেমিকা জেলে-তরুণীকে ফিরে আসার আশ্বাস দিয়ে তুর্গেনেভ প্যারিস গেলেন। আর প্যারিস এ গিয়ে প্রেমে পড়লেন বিবাহিত রমণী পলিন এর যাকে কেন্দ্র করেই তাঁর বাকি গোটা জীবনের ইতিহাস গোড়ে ওঠে নানা ঘটনার ঘনঘটায়। এই ঘটনাগুলিই দারুণ মুনশিয়ানায় ঊঠে এসেছে অরল্যান্ডো ফিজেস এর মাস্টারপিস  ‘দ্য ইউরোপিয়ানসঃ থ্রী লাইভস অ্যান্ড দ্য মেকিং অফ অ্যা কজমোপলিটান কালচার’ শীর্ষক বইয়ে।

মালেকা পারভীন: কথাসাহিত্যিক ও গল্পকার।