সবজি-মাছ-মাংসে অস্বস্তি, কমেছে পেঁয়াজের ঝাঁজ
অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৪৪ পিএম, ২৯ মার্চ ২০২৪ শুক্রবার
বাজারে প্রচুর সরবরাহ থাকার পরেও কমছে না সবজির দাম। আলু ছাড়া ষাট টাকার নিচে মিলছে না তেমন কোনো সবজি। অস্বস্তি রয়ে গেছে মাছ-মাংসের বাজারেও। তবে কমেছে পেঁয়াজের দাম। অপরদিকে মৌসুম শেষ হতে না হতেই বেড়েছে আলুর দাম।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন পরিস্থিতি দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। গোল বেগুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, গোল বেগুন ৫০-৬০ টাকা, ফুলকপি ৫০ থেকে ৬০ পিস, একই দামে বাঁধাকপি। শিম ও টমেটো ৬০ থেকে ৭০ টাকা, শসা ৯০ থেকে ১০০ টাকা, করল্লা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ থেকে ৮০ টাকা এবং লাউয়ের আকার ও মানভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে, যা গেল সপ্তাহজুড়ে প্রায় একই দামে বিক্রি হয়েছে।
এছাড়াও শাকের মধ্যে পাট শাক আটি ১৫ থেকে ২০ টাকা, ডাটা শাক ১৫ টাকা, পালং ১৫ থেকে ২০ টাকা, লাউ শাক ৩০ থেকে ৪০ টাকা, লাল শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা আটি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারের দোকানের তুলনায় ভ্যানে কিংবা ফুটপাতের দোকানগুলোতে সব ধরণের সবজি ৫ থেকে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে কিছুটা কমছে পেঁয়াজের ঝাঁঝ। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে আদা-রসুন। নতুন রসুন ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা ও আদা ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে অস্বস্তি রয়েই গেছে মাছ-মাংসের বাজারে। প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২১৫ টাকা, সোনালি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা। আবারও ৭৫০ টাকা ছাড়িয়েছে গরুর মাংসের দাম। রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে এই অস্থিরতা তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে তেলাপিয়া ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, পাঙাশ ২০০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহেও ১০ থেকে ২০ টাকা কম দামে বিক্রি হয়েছে। মাঝারি ও বড় আকারের চাষের রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছের দাম প্রতি কেজি ৩০০ থেকে শুরু করে আকার ভেদে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। আর ৬০০ টাকার নিচে মিলছে না পাবদা, টেংরা, কই, বোয়াল, চিতল, আইড় ও ইলিশ। মাছ যত বড়, ততো বেশি দামেই বিক্রিও হচ্ছে।