কমলাপুরে খুলেছে রেলওয়ের আবাসিক হোটেল, ভাড়া সর্বনিম্ন ১ হাজার
অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৪৫ পিএম, ২৫ মার্চ ২০২৪ সোমবার
যাত্রীদের স্টেশনে থাকার সুবিধা দিতে বছরখানেক বন্ধ থাকার পর আবারও চালু হয়েছে রেলওয়ে আবাসিক হোটেল। হোটেলটি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের তৃতীয় তলায়। গত জানুয়ারি মাস থেকে আবাসিক হোটেলটি পরিচালনা করছে রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম সেল।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিকুঞ্জ নামে একটি প্রতিষ্ঠান হোটেলটি আগে পরিচালনা করতো৷ পরে ভাড়া বকেয়া থাকায় রেল কর্তৃপক্ষ তাদের থেকে দায়িত্ব নিয়ে নেয় এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে।
মূলত রেলে যাত্রীদের সেবা দিতে এটি চালু করা হয়। এখানে এসি এবং নন-এসি দুই ধরনের রুম রয়েছে। যাত্রীরা দিনের যেকোনো সময় এসব রুম ভাড়া নিতে পারবেন। এবং পরদিন দুপুর ১২টার মধ্যে হোটেল রুম ছেড়ে দিতে হবে।
হোটেলটিতে মোট ১৫টি রুম রয়েছে। এর মধ্যে ৭টি রুম এসি এবং ৮টি রুম নন-এসি। ১ দিনের জন্য ২ বেডের এসি রুমের ভাড়া দুই হাজার এবং সিঙ্গেল বেডের এসি রুমের ভাড়া ১৫০০ টাকা। আর নন-এসি ২ বেডের রুমের ভাড়া এক হাজার টাকা। হোটেলটিতে মোট ১৫টি রুম রয়েছে।
হোটেলের তত্ত্বাবধায়ক বলেন, আগে হোটেল ভাড়া প্রতি বছরে একবার পরিশোধ করতে হতো। এখন প্রতি মাসের ভাড়া প্রতি মাসে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে পরিশোধ করতে হয়। সেবার মান আগের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি করা হয়েছে। যেসব যাত্রীরা রাতে স্টেশন এসে পৌঁছান এবং অন্য কোথাও যেতে পারেন না বা একদিনের জন্য কাজে আসেন, তারা এই হোটেলে নিরাপদে থাকতে পারবেন।
হোটেলটি পরিচালনা করার জন্য ২ জন ম্যানেজার, ২ জন হোটেল স্টাফ রয়েছেন। হোটেল ম্যানেজার শাহিন রেজা বলেন, 'আমাদের এখানে ২৪ ঘণ্টার জন্য যারা থাকেন তাদের যে সেবা দেওয়া হয়, দুই ঘণ্টার জন্যও যিনি আসেন তাকেও একই সেবা দেওয়া হয়। প্রত্যেকের জন্য নতুন বিছানা চাদর, কাথা, সাবান, শ্যাম্পু দেওয়া হয়। এছাড়া এই হোটেলে বিনা মূল্যে বিশুদ্ধ খাবার পানি দেওয়া হয় এবং কাপড় ধোয়ার ব্যবস্থা আছে। খাবার যাত্রীদের নিজেদের খরচে করতে হবে। তবে রুমে খাবার সার্ভিস দেওয়া হয় হোটেলের পক্ষ থেকে।
হোটেল ম্যানেজার শাহিন রেজা বলেন, প্রতিদিন ৭-৮ জন যাত্রী আসেন থাকার জন্য যাত্রীদের হোটেল রুম ভাড়া নিতে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখাতে হবে৷ এবং প্রত্যেকদিন রাত পৌনে ১২টায় কোন কোন যাত্রী হোটেলে অবস্থান করছেন তা নিরাপত্তার জন্য রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানানো হয়।
হোটেল ম্যানেজার শাহিন রেজা বলেন, চালু হবার পর থেকেই ভালো সাড়া পাচ্ছি। প্রত্যেকদিনই ৭-৮ জন যাত্রী আসেন থাকার জন্য। এখানে সিসি ক্যামেরা দেওয়া আছে দুই দিক দিয়ে। কারা আসেন যান সব দেখা যায়।