অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

দেশের জনগণ ত্রিশঙ্কু অবস্থায় রয়েছে: মির্জা আব্বাস

অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৫২ পিএম, ২০ মার্চ ২০২৪ বুধবার  

দেশের চলমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আমাদের যুদ্ধ চলছে। অঘোষিত স্বাধীনতার যুদ্ধ। এ যুদ্ধে দেশের প্রতিটি মানুষকে শরিক হতে হবে। চিকিৎসক, প্রকৌশলী সব পেশার মানুষকে। কেননা আমরা এখন ত্রিশঙ্কু (উভয় সংকট) অবস্থায় আছি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ নানা অসংগতি দেখা দিয়েছে।

বুধবার বিকালে রাজধানীর ইস্কাটনে লেডিস ক্লাবে চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

আফসোস করে মির্জা আব্বাস বলেন, আজকে দেশে মদ আমদানি হয় বিনা শুল্কে, আর খেজুর আমদানি করতে হয় শুল্ক দিয়ে। আমরা কি এই দেশ চেয়েছিলাম? ’৭১ সালে অন্য দেশ থেকে বাংলাদেশকে কেন স্বাধীন করেছিলাম? কথা ছিল গণতন্ত্র, মানুষের ভোটাধিকার ও কথা বলার অধিকার থাকবে। কিন্তু আমরা ভোটাধিকার, কথা বলার অধিকার ও গণতন্ত্র আজও পাইনি। এই পাওয়া না পাওয়ার পেছনে কারও প্রভাব রয়েছে। 

অনুষ্ঠানে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দেশে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। স্থান-কালভেদে কোনো আন্দোলন হয় না। আমাদের যখন সময় হবে আঘাত করার, তখন আঘাত করব। জালিমের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে জালিমকে সরাতে হবে। তবেই দেশের জনগণ মুক্তি পাবে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্র মুক্ত পাবে।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইব না, আমরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব। দেশকে জালিমের হাত থেকে মুক্ত করব। আমরা কি পেলাম আর কি পেলাম না, এই হিসাব করা যাবে না। বরং আমরা দেশকে কি দিলাম, জনগণের জন্য কি করতে পারলাম, এই ভেবে আন্দোলনে নামতে হবে।

ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, আজকে জগদ্দল পাথরের মতো এই স্বৈরাচার সরকার বসে আছে। মনোবল শক্ত রাখুন, আমরা রাজপথে নেমেছি। যে গণতন্ত্রের জন্য আমরা স্বাধীনতাযুদ্ধ করেছি, এই সরকারকে হটিয়ে আবারও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব ইনশাআল্লাহ। এটাই হোক আমাদের আজকের শপথ।

বেগম সেলিমা রহমান বলেন, আজ আমরা কঠিন সময় পার করছি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা। সাধারণ মানুষ খেতে পারছে না। ইফতার মাহফিলে বাধা দেওয়া হচ্ছে। গণতন্ত্র উত্তরণে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সরকার পতন ঘটিয়ে আমাদের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।

ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ডা. মো. আবদুস সালাম এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. মো. মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় আরও বত্তৃদ্ধতা করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ড্যাবের প্রধান উপদেষ্টা ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল হাই শিকদার, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. পারভেজ রেজা কাকন।