দলের কেউ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিলেই ব্যবস্থা : রিজভী
অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৫৯ পিএম, ৪ মার্চ ২০২৪ সোমবার
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনার অধীনে বিএনপির আগামী উপজেলা নির্বাচনে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই দলীয় সিদ্ধান্ত যারা অমান্য করবেন, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার (৪ মার্চ) বেলা ১১টায় বগুড়ার শেরপুরে পুলিশের গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে থাকা দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত বিএনপি নেতা আব্দুল মতীনের পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাতে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, এর মাধ্যমে দলীয় দুর্নীতিবাজদের আরও লুটপাটের সুযোগ করে দিয়েছে। যদিও জুলুম করে আর বেশিদিন টিকে থাকা যাবে না।
রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, জেল-জুলুম, মামলা-হামলা, নির্যাতন ও হত্যার ভয় দেখিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের দমিয়ে রাখা যাবে না। সকল বাধা উপক্ষো করে আমরা রাজপথে আছি এবং থাকবো। দেশে গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
এর আগে উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের মান্দাইলে আব্দুল মতীনের গ্রামের বাড়িতে যান রুহুল কবির রিজভী। সেই সঙ্গে শোকাহত পরিবারের সদস্যদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে সমবেদনা জানান এবং নিহতের স্ত্রী লাইলী বেগমের হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন তিনি।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় অর্থবিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা, জেলা বিএনপির নেতা শহিদুর রহমান শহিদ, শেরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবলু, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু, বিশালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আহম্মেদ, স্থানীয় বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান, জহুরুল ইসলাম, আব্দুল মজিদসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।
এ ছাড়া নিহতের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ছেলে মিলন রহমান, মেয়ে মৌসুমী আক্তার, জামাই নাজিমুদ্দিন নাজু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী নিহত আব্দুল মতীনের কবরে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ দোয়া মোনাজাতে অংশ নেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর শেরপুরের বিশাল ইউনিয়নের নান্দাইল গ্রামের বিএনপি নেতা আব্দুল মতিনকে পিটিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ছাড়াও শাহজাহানপুর উপজেলার কোট্রাপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ককে হত্যা করা হয়।