অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় ড. ইউনূসের জামিনের মেয়াদ বাড়ল

অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৩০ পিএম, ৩ মার্চ ২০২৪ রোববার  

শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৪ আসামির জামিনের মেয়াদ বেড়েছে। তবে জামিনের মেয়াদ কতদিন বেড়েছে, সেটি এখনও উল্লেখ করা হয়নি। পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন বিচারক।

রোববার (৩ মার্চ) শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে এ মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৬ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।

এর আগে, সকালে পূর্বের দেওয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের হাজির হয়ে ফের জামিন আবেদন করেন ড. ইউনূস। জামিন নিতে আসেন গ্রামীণ টেলিকমের আরও তিন কর্মকর্তা।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করার আগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টকে ৫০ কোটি টাকা কর জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায়ে আদালত বলেন, আইন অনুযায়ী যেটা দেওয়ার সেটাই ড. ইউনূসকে দিতে হবে। এখানে অনুকম্পা দেখানোর কোনো সুযোগ নেই।

এর আগে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টকে ৫০ কোটি টাকা জমা দিয়ে ২০১১ থেকে ১৩ করবর্ষের আয়কর আপিল দায়েরের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

গত ২৮ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় শ্রম আপিল আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করেন ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের অপর তিন কর্মকর্তা। সেই আবেদন খারিজ করে রায় দেওয়া হয়।

সুপ্রিম কোর্টের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার তাহমিনা পলি জানান, ২০২০ সালের নভেম্বরে ২০১১ থেকে ২০১৩ দুই বছরের প্রায় ২৫০ কোটি টাকা আয়কর দাবি করে গ্রামীণ কল্যাণ ট্রাস্টকে নোটিশ পাঠায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এরপর এনবিআরের কাছে গ্রামীণ কল্যাণ ট্রাস্ট অর্থ নেই বলে মওকুফ চান। কিন্তু তখন তাদের একটি অ্যাকাউন্টে প্রায় সাড়ে তিন শ থেকে প্রায় চার শ কোটি টাকার মতো ছিল। ফলে এনবিআর অর্থ চেয়ে নোটিশ করে। কিন্তু গ্রামীণ টেলিকম এই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন। সেটির শুনানি শেষে গ্রামীণ টেলিকমের রিট খারিজ করেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটিকে নিয়ম অনুযায়ী দাবি করা আয়করের ২৫ শতাংশ টাকা আগে জমা দিয়ে এরপর এনবিআরেরব বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করতে আদেশ দেওয়া হয়।