দুই মামলাতেই অব্যাহতি পেলেন জবি ছাত্রী খাদিজা
অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:১৩ পিএম, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বৃহস্পতিবার
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা আরেক মামলায় অব্যাহতি পেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরাকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় করা মামলাটিতে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত খাদিজাকে অব্যাহতি দেন।
আজ মামলাটিতে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন খাদিজার অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী। শুনানি শেষে অভিযোগ গঠন করার মতো উপাদান না থাকায় খাদিজাকে অব্যাহতি দেন বিচারক জুলফিকার হায়াত। একইসঙ্গে মামলার আরেক আসামি অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের অংশটি পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি কলাবাগায় থানায় করা মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল তাকে। গত ২৮ জানুয়ারি ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কলাবাগান থানায় করা মামলায় তাকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন।
সেদিন দুই মামলাতেই খাদিজার অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী। শুনানি শেষে আদালত কলাবাগান থানার মামলায় অভিযোগ গঠনের মতো উপাদান না থাকায় তাকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন। আর নিউমার্কেট থানার মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ২৯ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছিল। আজ অভিযোগ গঠনের দিন সেই মামলা থেকেও তাকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা একটি ইউটিউব চ্যানেল চালাতেন। অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচার এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজাতুল কুবরা এবং অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানায় পৃথক দুটি মামলা করে পুলিশ।
একটি মামলার বাদী নিউমার্কেট থানার উপ-পরিদর্শক খাইরুল ইসলাম এবং অন্যটির কলাবাগান থানার উপপরিদর্শক আরিফ হোসেন। দুই বাদীই দায়িত্ব পালনকালে মোবাইল ফোনে ইউটিউবে ব্রাউজ করতে করতে খাদিজাতুল কুবরা ও মেজর (অব.) দেলোয়ার হোসেনের ভিডিও দেখতে পান। তারপর দুজনই নিজ নিজ থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলার দুই বছর পর ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট খাদিজাকে গ্রেফতার করে নিউমার্কেট থানা পুলিশ। তখন থেকে কারাগারে ছিলেন এই শিক্ষার্থী।
গ্রেফতার হওয়ার পর অধস্তন আদালতে খাদিজার জামিন আবেদন কয়েক দফায় নাকচ হয়েছে। গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট তাকে জামিন দিলেও তা স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই বছরের ১০ জুলাই বিষয়টি আপিল বিভাগে ওঠে। পরে আদালত বিষয়টি চার মাসের জন্য মুলতবি করে।
গত বছরের ১৬ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় হাইকোর্টের জামিন আদেশই বহাল থাকে। এরপর ২০ নভেম্বর গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান খাদিজা।