রাজীব গান্ধী হাসপতালেই মারা গেলেন হত্যার মুক্তিপ্রাপ্ত আসামি
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৪২ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বুধবার
রাজীব গান্ধী হত্যা মামলার মুক্তিপ্রাপ্ত আসামি টি সুথেন্দ্ররাজা ওরফে সান্থান চেন্নাইয়ের রাজীব গান্ধী সরকারি জেনারেল হাসপাতালে মারা গেছেন। হাসপাতালের এক কর্মকর্তা তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজীব গান্ধী হত্যার মুক্তিপ্রাপ্ত আসামি সান্থান হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তার ক্রিপ্টোজেনিক সিরোসিস ধরা পড়ে।
গত সপ্তাহে, ভারতের কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (এফআরআরও) ৫৬ বছর বয়সী সান্থানের জন্য জরুরি ভ্রমণ নথি প্রদান করেছে। যার ফলে শ্রীলঙ্কায় তার দ্রুত প্রত্যাবাসন সম্ভব হয়েছে।
দ্য নিউজ মিনিটের প্রতিবেদন অনুসারে, সান্থান হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তার ক্রিপ্টোজেনিক সিরোসিস ধরা পড়ে। এট এমন একটি অবস্থা যা মদ্যপানের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং লিভারের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে।
সান্থানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট পুগাঝেন্ধি দ্য নিউজ মিনিটকে বলেন, ‘তার ভাই মারা যাওয়ার সময় হাসপাতালে ছিলেন। শেষকৃত্যের জন্য তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে শ্রীলঙ্কায় তার বাড়িতে। সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
তিরুচি কেন্দ্রীয় কারাগারে একটি বিশেষ শিবিরে রাখা সান্থানকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মকর্তাদের সঙ্গে যাওয়ার কথা ছিল। সান্থানের অনুরোধের পর শ্রীলঙ্কার ডেপুটি হাই কমিশন পূর্বে একটি অস্থায়ী ভ্রমণ নথি জারি করেছিল। তারপর এফআরআরও তার প্রস্থানের জন্য একটি এক্সিট পারমিট মঞ্জুর করে।
ফেব্রুয়ারির শুরুতে তাকে রাজীব গান্ধী সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
১৯৯৯ সালের মে মাসে সুপ্রিম কোর্ট রাজীব গান্ধীর হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তারকৃত ২৬ অভিযুক্তের মধ্যে ১৯ জনকে বেকসুর খালাস দেয়। মুরুগান, সান্থান, পেরারিভালান ও নলিনীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়াও পায়াস, রবিচন্দ্রন ও জয়কুমারের মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
তামিলনাড়ুর শ্রীপেরামবুদুরে লিবারেশন টাইগার্স অব তামিল ইলম (এলটিটিই) এর সঙ্গে সম্পৃক্ত আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী রাজীব গান্ধীর হত্যাকাণ্ডের পর এক সপ্তাহ ও মাসের মধ্যে সাতজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ২০২২ সালের নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট সান্থানকে মুক্তি দেয়।
সিবিআই-এর মতে, সান্থান ১৯৯১ সালের এপ্রিল মাসে তামিলনাড়ুতে আসেন। তাকে এলটিটিইর গোয়েন্দা শাখার সদস্য হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। ১৯৮৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে এলটিটিই মাস্টারমাইন্ড শিভারসন তাকে মাদ্রাজে (চেন্নাই) পড়াশোনা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
পরবর্তীকালে, ১৯৯০ সালে ফেব্রুয়ারিতে মাদ্রাজ ইন্সটিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজিতে ভর্তি হন সান্থান। এলটিটিই তার খরচ বহন করতো। রাজীব গান্ধীকে হত্যার ষড়যন্ত্রে শিভারাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জন্য সান্থানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।