সুপারসনিক বোমারু বিমানে চড়ে পশ্চিমাদের যে বার্তা দিলেন পুতিন
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৩৪ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ শুক্রবার
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটি অত্যাধুনিক পারমাণবিক-সক্ষম কৌশলগত বোমারু বিমানে ভ্রমণ করেছেন। বিমানটির নাম ‘হোয়াইট সোয়ান’ দিয়েছে রাশিয়া। দৈত্যাকার বিমানটি কাজানের কারখানার একটি রানওয়েতে অবতরণ করে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভিতে পুতিনকে বোমারু বিমানটির সিঁড়ি দিয়ে নামতে দেখা গেছে। এর মাধ্যমে পুতিন পশ্চিমা দেশগুলোকে মস্কোর পারমাণবিক সক্ষমতার একটি সুস্পষ্ট বার্তা দিচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার টিইউ-১৬০এম বিমান; সামরিক জোট ন্যাটোর কোড নাম ‘ব্ল্যাকজ্যাকস’-এ ভ্রমণ করেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
পরে এক সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেন, বিমানটি আধুনিক ও নির্ভরযোগ্য। এটি নিয়ন্ত্রণ করাও সহজ। রাশিয়ার বিমানবাহিনী এটিকে গ্রহণ করতে পারে।
বিমানটি কোল্ডওয়ার যুগের বোমারু বিমানের একটি আধুনিক সংস্করণ যা পারমাণবিক যুদ্ধের ক্ষেত্রে দীর্ঘ দূরত্বে অস্ত্র সরবরাহের জন্য ব্যবহার করত সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন।
আগামী মাসে রুশ নির্বাচনে পরবর্তী ছয় বছরের জন্য ভ্লাদিমির পুতিন আবারো প্রেসিডেন্ট পদে বিজয়ী হচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিমানটিতে এমন এক সময়ে পুতিন ভ্রমণ করলেন, যখন রাশিয়া ইউক্রেনের একটি শহরের দখল নিয়েছে এবং তার কট্টর সমালোচক অ্যালেক্সি নাভালনি কারাগারে মারা গেছেন।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্র পেসকভ বলেছেন, সামরিক গোপন পথে বিমানটিতে প্রায় ৩০ মিনিট ভ্রমণ করেছেন পুতিন। টিইউ-১৬০ এম বিমানে চারজন ক্রু রয়েছে। এটি ১২টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বা ১২টি স্বল্পপাল্লার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে সক্ষম। এছাড়া বিমানটি জ্বালানিবিহীন প্রায় ১২ হাজার কিলোমিটার একটানা উড্ডয়ন করতে পারে।
৭১ বছর বয়সি পুতিন এর আগেও ২০০৫ সালে টিইই-১৬০ বিমানের পুরোনো সংস্করণে উড্ডয়ন করেছিলেন।
২০১৮ সালে স্বাক্ষরিত এক চুক্তির অধীনে, রাশিয়ার বিমান বাহিনীকে ২০২৭ সাল নাগাদ ১০টি টিইউ-১৬০ পারমাণবিক বিমান সরবরাহ করা হবে। আর এতে খরচ হবে অন্তত ১৫ বিলিয়ন রুবল।
বিমানটির নির্মাতা টুপোলেভ বলেছেন, আধুনিক সংস্করণটি পুরানো সংস্করণের তুলনায় ৬০ শতাংশ বেশি কার্যকর।