পাকিস্তানে ক্ষমতার ভাগাভাগি, কে কী পাচ্ছেন
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৪৩ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বুধবার
অবশেষে সরকার গঠনের বিষয়ে মতৈক্যে পৌঁছেছে দুই রাজনৈতিক দল। পাকিস্তানের নির্বাচনের দুই সপ্তাহ পর প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি পদ দুটির মনোনয়ন নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়েছে মুসলিম লীগ-নওয়াজ ও পিপলস্ পার্টি। এর ফলে আসিফ আলি জারদারিকে রাষ্ট্রপতি এবং শেহবাজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেতে যাচ্ছে দেশটি।
ইসলামাবাদের জারদারি হাউসে মঙ্গলবার রাতে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি এই সমঝোতার ঘোষণা দেন। ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার গঠনে দোদুল্যমানতার অবসান হলো এর মধ্য দিয়ে।
সংবাদ সম্মেলনে বিলাওয়াল বলেন, রাজনীতি বিষয়ক কমিটির সদস্যদের কয়েক দিনের কঠোর পরিশ্রমের ফলশ্রুতিতে আমরা একটা সমঝোতায় পৌঁছতে সমর্থ হয়েছি। জাতীয় পরিষদে যৌথভাবে পর্যাপ্ত আসন থাকায় পিপিপি এবং পিএমএল-এন সরকার গঠনের সামর্থ্য রাখে।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ-পিটিআই ও সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের জোট বিলাওয়াল বলেন, জোট গঠন করেও তারা সরকারে যাওয়ার সক্ষমতা তৈরি করতে পারেনি।
মিত্রদের ধন্যবাদ জানিয়ে শেহবাজ শরিফ বলেন, প্রয়োজনীয় সমর্থন থাকায় আসিফ আলি জারদারির পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হতে বাধা নেই।
এর আগে ইমরান খানের অপসারণের পর এক মেয়াদে ১৬ মাস ক্ষমতায় ছিল দল দুটি।
অবশ্য বুধবার সকালেই স্থানীয় গণমাধ্যম জিও নিউজে পিপিপি মুখপাত্র ফয়সাল করিম কান্দি বলেন, সেই সরকারি জোট পাকিস্তান ডেমোক্রটিক মুভমেন্টের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়।
দেশটির সংবিধানে বলা হয়েছে, ভোটের দিন থেকে ২১ দিনের মধ্যে নতুন পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন ডাকতে হবে। সে হিসেবে, আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সরকার গঠনের সব প্রক্রিয়া শেষ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।