সরকার একচ্ছত্র রাজকীয় শাসন চালু করেছে: রিজভী
অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৫৪ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বুধবার আপডেট: ০১:৫৯ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বুধবার
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর মতো একই কায়দায় জনগণের সব অধিকার হরণ করে দেশীয় হানাদার বাহিনী জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে হরণ করেছে। তারা একটি একচ্ছত্র রাজকীয় শাসন চালু করেছে।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আজিমপুরে ভাষাশহীদদের কবর জিয়ারত ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় ভাষাশহীদদের রূহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন ওলামা দলের সাবেক আহ্বায়ক মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক।
রিজভী বলেন, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যে আত্মদান সেখানেই তো লুকিয়ে আছে আমাদের স্বাধীনতার শক্তি। আমাদের সবকিছু ঘিরেই রয়েছে বায়ান্নর সেই চেতনা।
পরে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদীতে বিএনপির পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রিজভী।
এ সময় বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক শিকদার, আমিনুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির দফতর সম্পাদক সাইদুর রহমান মিন্টু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, এজমল হোসেন পাইলট, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব মো. আবদুর রহিম, ওলামা দলের সাবেক সদস্য সচিব অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম তালুকদার, শ্রমিক দলের মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, ছাত্রদলের তানজিল হাসান, আবু আফসান মো. ইয়াহিয়াসহ ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, শ্রমিক দল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপিসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী।
রিজভী বলেন, আমরা গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ভোটাধিকার হারা। দেশের জনগণ ভোট দিতে পারছেন না। তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে ভোটাধিকার দাবি করে আসছে। আজ স্বাধীনতার ৫২/৫৩ বছর পরও কেন এই দাবি করতে হচ্ছে? কারণ যেভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আমাদের মাতৃভাষার অধিকার হরণ করেছিল। ঠিক একইভাবে একই কায়দায় আমাদের দেশীয় হানাদার বাহিনী জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাসহ সকল অধিকার হরণ করেছে। তারা একটি একচ্ছত্র রাজকীয় শাসন চালু করেছে। সুতরাং আজকে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর যে এক দফা আন্দোলন সেই আন্দোলনের অন্তর্নিহিত শক্তি হলো বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের এই ২১ ফেব্রুয়ারি। সেই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমাদের আগামীতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বিজয় করতে হবে।