তেলে ভ্যাট, চিনি-চাল-খেজুরে শুল্ক কমালো সরকার
অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৫৮ পিএম, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বৃহস্পতিবার আপডেট: ০৪:১৭ পিএম, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বৃহস্পতিবার
আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে চাল, চিনি, তেল ও খেজুরে ভ্যাট ও শুল্ক কমিয়েছে সরকার। এরমধ্যে খেজুরে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ, চালে রেগুলেটরি ডিউটি ২০ শতাংশ, তেলে মূসক ৫ শতাংশ ও চিনিতে শুল্ক প্রত্যাহার করেছে রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম সই করা পৃথক চারটি আদেশে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, পবিত্র রোজায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে চাল, চিনি, তেল ও খেজুরে ভ্যাট ও শুল্ক কমানো হয়েছে। এর মধ্যে খেজুরে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ, চালে রেগুলেটরি ডিউটি ২০ শতাংশ, তেলে মূসক ৫ শতাংশ এবং চিনিতে শুল্ক প্রত্যাহার করেছে এনবিআর।
এর আগে আসছে রমজানে বাড়তি চাহিদা পূরণের জন্য ৪টি নিত্যপণ্য আমদানিতে শুল্ক ও ভ্যাট কমানোর আহ্বান জানিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে চাল, চিনি, তেল ও খেজুরে ভ্যাট ও শুল্ক কমিয়েছে সরকার। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে।
আহসানুল ইসলাম টিটু জানান, বাজারে নিত্যপণ্যের বাড়তি জোগান আর দ্রব্যমূল্য নাগালের মধ্যে রাখতে বাড়তি নজরদারি করা হচ্ছে। শুল্ক কমানোর মাধ্যমে এসব পণ্যে নির্ধারিত দামের চেয়ে কমে পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। সাধারণ ভোক্তাদের কাছে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, কৃষি, খাদ্য, মৎস্য বাণিজ্য- এসব মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে কাজ চলছে। তাতে উৎপাদন, জোগান আর ভোক্তার কাছে পৌঁছানোর পুরো বিষয় তদারকি করা হবে। যাতে ন্যায্যমূল্যে নিত্যপণ্য পাওয়া যায়। এসব ক্ষেত্রে দরকার হলে আইনি পদক্ষেপও নেয়া হবে। প্রয়োজনে খাদ্যের জন্য জরুরি আইন প্রয়োগ করা হবে।ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রিতে গণমাধ্যমের দায়িত্বশীল ভূমিকার প্রত্যাশা করি আমরা।
গত ২৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে রমজান উপলক্ষে ভোজ্যতেল, চিনি, খেজুর ও চালের ওপর শুল্ক কমানোর নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, রমজানে যাতে এসব পণ্যের সরবরাহ কম না হয়।