কবি যখন হাসপাতালে
কবি অসুস্থ এ কথা ছড়িয়ে পড়বার পর,
অরণ্যে নেমে এলো শোকের ছায়া
আলো ছাড়া কবিতাই বৃক্ষের অপরিহার্য ভোগ্য,
কবিতা ছাড়া বৃক্ষ বৈশিষ্ট্য অসম্পূর্ণ।
আমরা কোরাসে গাইলাম,
সমবেত প্রার্থণায় ভরিয়ে দিলাম দশ দিগন্ত,
কবি, আপনি দ্রুত আরোগ্য লাভ করুন।
বৃক্ষদের আপনাকে বড়ো দরকার,
কবিতা ছাড়া মানুষ বাঁচে, বৃক্ষেরা নয়।
যখন কবি সুস্থ হয়ে উঠলেন,
অরণ্য ভরে উঠলো ফুলে, পাতায়,
পাখিতে, মৌমাছিতে, ছায়ায়, আলোয়,
মৌতাতে। যা কিছু আরণ্যক,
হয়ে উঠলো আনন্দময়, উদ্বেল - ভালোবাসায়,
শেকড়ের কাছে নীত হলো অন্য বসন্ত।
কবি আজ সুস্থ হয়ে উঠেছেন,
বৃক্ষেরা জানে, তিনি আবার লিখবেন।
কবিও নীরবেই সহে
[কবি মোশতাক আহমেদ এর জন্য]
নীরবেতো ঝিনুক সয়েছে অনেক,
এবার না হয় সে খানিক অভিমান করুক,
বলুক, কোন সে ক্ষত তার বুকে হানে
বালুকনার তীর্যক মৃত্যু,
কেন সে হাসপাতালের কেবিনেই পায় ঠাঁই,
গৃহস্থের সুখী গৃহকোন কেন তাকে রাখে দূরে।
নীরবেতো সয়েছে অনেক,
এবার সে খানিকটা অভিমান করুক না হয়,
বলুক, কোন সে ব্যাথা ছড়িয়ে পড়ে বুকে,
কেন সে কবি হতে হতে হয়ে ওঠে ঝিনুক এক,
হয় দাহতপ্ত পাথর - লাবন্যে অসীম।