রিজার্ভ আবার ১৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নামল
অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:২৯ পিএম, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বৃহস্পতিবার
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার নিট রিজার্ভ কমে আবার ১৯ বিলিয়ন ডলারের (১০০ কোটিতে এক বিলিয়ন) ঘরে নেমে এসেছে। গত বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে নিট রিজার্ভ ছিল ১ হাজার ৯৯৪ কোটি ডলার। তবে গ্রস রিজার্ভ এখনো ২৫ বিলিয়ন ডলারের উপরে রয়েছে।
রিজার্ভ যেভাবে কমছে তাতে গ্রস রিজার্ভও কমে অচিরেই ২৪ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে আসতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। আসন্ন রমজান উপলক্ষ্যে এলসি খোলার জন্য ডলারের জোগান বাড়ানো, আমদানি দায় মেটানো ও বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের জন্য ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করায় রিজার্ভ কমছে।
সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে রিজার্ভ কমে ১৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নামলেও তা ছিল ২০ বিলিয়ন ডলারের খুব কাছাকাছি অর্থাৎ ১ হাজার ৯৯৪ কোটি ডলার। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি নিট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৩ কোটি ডলার। ওই এক সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ৯ কোটি ডলার।
গত বছরের নভেম্বরের শুরুর দিকে রিজার্ভ ১৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে গিয়েছিল। তখন এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর- এই দুই মাসের দেনা বাবদ ২১০ কোটি ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে ১৯ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল। তখন রিজার্ভ ছিল ১ হাজার ৯৪৫ কোটি ডলার। এরপর আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তিসহ অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের ঋণের অর্থ ছাড় হওয়ায় রিজার্ভ আবার বেড়ে ২১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। কিন্তু নভেম্বর ও ডিসেম্বরের আকুর দেনা পরিশোধের পর রিজার্ভ আবার কমে ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে আসে। এখন আরও কমে ১৯ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে।
এদিকে গ্রস রিজার্ভ বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে ছিল ২ হাজার ৫০৯ কোটি ডলার। গত ২৫ জানুয়ারি ছিল ২ হাজার ৫২৩ কোটি ডলার। এক সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ১৪ কোটি ডলার।
২০২১ সালের আগস্টে গ্রস রিজার্ভ বেড়ে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৮০৬ কোটি ডলারে ওঠেছিল। এরপর থেকে তা কমতে থাকে। সে ধারাবাহিকতা এখনো অব্যাহত রয়েছে। তবে মাঝে মধ্যে ঋণের অর্থ ছাড় হওয়ায় রিজার্ভ কিছুটা বাড়লেও তা স্থায়ী হচ্ছে না। বড় ধরনের কোনো দেনা পরিশোধ করলেই রিজার্ভ আবার কমে যাচ্ছে।
এদিকে আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণে এসেছে, রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় কিছুটা রেড়েছে। তারপরও রিজার্ভ কমছে। কারণ, বৈদেশিক ঋণ বাবদ নতুন ডলার পাওয়া যাচ্ছে কম। সে তুলনায় পরিশোধ করতে হচ্ছে বেশি। এ কারণে রিজার্ভ কমে যাচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, আসন্ন রোজা উপলক্ষ্যে রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও বাড়তে পারে। তখন রিজার্ভও বেড়ে যাবে বলে তারা আশা করছেন।