শিল্পী সমিতি থেকে পদত্যাগ সাইমনের
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৫৮ পিএম, ২০ জানুয়ারি ২০২৪ শনিবার
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদের সহসাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বরাবর লিখিত অব্যাহতি পত্র জমা দিয়েছেন তিনি।
মূলত একইদিনে বাংলাদেশে দেশি ও বিদেশি সিনেমার মুক্তিকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ হয়েছেন সাইমন। যার কারণে কমিটি থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
অব্যাহতি পত্রে সাইমন লিখেছেন, ‘বিগত দিনগুলোতে আমি আমার দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ নিবেদিত ছিলাম। কিন্তু সম্প্রতি সমিতির নেয়া কিছু সিদ্ধান্ত ও নীতির সঙ্গে আমি একমত হতে পারছি না। বিশেষ করে সাফটা চুক্তিতে বিদেশি ভাষার সিনেমা আমদানি করে দেশীয় চলচ্চিত্র শিল্পকে হুমকিতে ফেলে বিদেশি সিনেমা মুক্তির প্রেক্ষিতে উদ্ভুত বিতর্কিত পরিস্থিতিতে সমিতির কার্যকরী পরিষদের নিষ্ক্রিয়তা আমার কাছে সমর্থনযোগ্য নয়।’
সাইমনের অভিযোগ, ‘একই দিনে নিয়ম নীতি না মেনে বিদেশি আরেকটি চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে এবং আমাদের অধিকাংশ সিনেমা হলে প্রদর্শিত হয়েছে। এ কারণে আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প এবং আমার ক্যারিয়ার যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত হতাশার বিষয় এ সম্পর্কেও আমাদের সমিতি নীরব রয়েছে। এ সব বিষয় নিয়ে মত পার্থক্য থাকায় সমিতির কার্যকরী কমিটিতে থাকা আমি অযৌক্তিক এবং অনুচিত মনে করছি। তাই সহ-সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি চাইছি। অবাক হই বার বার এটা ভেবে যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী সকল ক্ষেত্রে আমরা স্বনির্ভর হবার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু চলচ্চিত্র শিল্পে ক্রমাগত পরনির্ভরশীল হচ্ছি। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান রইল। আমি অতীতের মতোই দেশীয় চলচ্চিত্র বিকাশের পক্ষে কাজ করে যাবো।’
সাইমনের অব্যাহতির বিষয়ে শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, বর্তমান সমিতির মেয়াদই তো শেষের পথে। ফেব্রুয়ারিতে আবার নতুন নির্বাচন। এখন আর অব্যাহতি চাওয়ার কী আছে!
সাফটা চুক্তিতে বিদেশি ভাষার সিনেমা আমদানি করে দেশীয় চলচ্চিত্র শিল্পকে হুমকিতে ফেলা হচ্ছে, সেখানে শিল্পী সমিতির নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনেছেন সাইমন। ইলিয়াস কাঞ্চনের কাছে সাইমনের অভিযোগ তুলে ধরলে তিনি বলেন, সাইমন নিজেও তো এই কমিটির গুরুত্বপূর্ণ নেতা। কই, যেসব বিষয়ে এখন তিনি কথা বলছেন, সেগুলো তিনি কমিটির মিটিংয়ে বসে বলেননি কেন! সমিতির পক্ষে তারও তো সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার আছে। এগুলো তো তিনি কখনো উপস্থাপনই করেননি।