দুর্নীতির দায়ে বরখাস্ত হলেন সোনালী লাইফের সিইও রাশেদ আমান
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০১:১৮ পিএম, ২০ জানুয়ারি ২০২৪ শনিবার
অর্থ আত্মসাৎ, অনিয়ম ও নারী কেলেংকারির অভিযোগে বরখাস্ত হলেন দেশের শীর্ষস্হানীয় একটি বীমা কোমপানির মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ।
দ্রুত প্রবৃদধি অর্জন কারী চতুর্থ প্রজন্মের জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান সোনালী লাইফ ইনসুরেনস দেশের জীবন বীমা সেক্টরে একটি আলোচিত নাম হয়ে উঠেছে শুধুমাত্র তার দ্রুত বীমা দাবি পরিশোধ, স্বচছতা , জবাবদিহিতা আধুনিক ডিজিটাল সেবাপ্রদান এসব কারনে ।
একসময় প্রতিষ্ঠানটির বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা কে যে নিজেই ছাঁটাই করেছিলেন নারী বিষয়ক অভিযোগের কারনে, রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সে নিজেই নির্লজ্জ ভাবে নিচের দিকের এক নারী কর্মচারির প্রেমে পরে নিজের ব্যক্তিত্ব বিসরজন দিয়েছেন প্রতিষ্ঠান টির সিইও রাশেদ আমান ।
উল্যেখ্য যে এই রাশেদ আমান দেশের একজন বিশিষ্ট শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী নেতা মোস্তফাগোলাম কুদ্দুসের বড় মেয়ের জামাতা ।
রাজত্ব, রাজকন্যা দুইই ছিল তার দেখলে । বিও, সন্মান , সাফল্য , সুখ-সমৃদ্ধি এসবের কোন কিছুই পাওা পায়নি রাশেদের নৈতিক স্খলনের কাছে ।
নিজ প্রতিষ্ঠানের নিচের দিকের একজন নারী কর্মচারির প্রেমে পরে ২০১৯ সালে তাকে বেআইনি ভাবে গোপনে বিয়ে করেন এবংনিজের স্ত্রী , প্রতিষ্ঠান , আত্মিয় পরিজন সকলের সাথে পরতারনার নাটক চালিয়ে যান ।
একই সাথে নামে বেনামে প্রতিষ্ঠান থেকে বেআইনি ভাবে নিয়েছেন অনেক আর্থিক সুবিধা । ভুয়া বিল, ভাউচারের মাধ্যমে পে-অর্ডারের মাধ্যমে আনুমানিক প্রায় ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন রাশেদ আমান যা সম্প্রতি এক ইন্টারনাল অডিটে প্রমানিত হয়েছে । কিনেছেন বিলাসবহুল দামি গাড়ি , ফ্লাট ।
অস্ট্রেলিয়ার পড়াশুনা করা এবং অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব ধারনকারী রাশেদ আমান অস্ট্রেলিয়াতেও কিনেছেন একাধীক বাড়ি । দ্বিতিয় স্ত্রী কেও কিনে দিয়েছেন ফ্ল্যাট ও দামি গাড়ি ।
৪ লক্ষ টাকা বেতনে চাকরি করা সিইও রাশেদ ১০ থেকে ১২ কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়েছেন প্রতিষ্ঠান থেকে আত্মসাৎকৃত অর্থ দিয়ে ।
নিজের কলংকের কারনে বীমা শিল্পের অংগনে সমধিক সুনাম ও সুখ্যাতি অর্জন কারী প্রতিষ্ঠান সোনালী লাইফ কেও ক্ষতিগ্রস্ত করার পায়তারা করেছেন রাশেদ।
সম্প্রতি বাংলাদেশ সিকিওরিটিজ এ্যন্ড একসচেনজ কমিশন (বিএস ইসি) তে ভূয়া অভিযোগ তুলে পএ দিয়েছেন রাশেদ আমান , অথচ সে সব অভিযোগের দায় পরিবারের সদস্য হিসেবে প্রকারানতরে তার নিজের উপরেই পরে ।
কোমপানি সূএে জানা যায় ইতিমধ্যে রাশেদ তার প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন । দুই সন্তানের জনক রাশেদ স্ত্রী সন্তানদের অত্যাচার করে বাসা থেক বের করে দেয় ।
পারিবারিক ভাবে ও প্রাতিষঠানিক ভাবে রাশেদ আমানের বিরুদ্ধে অত্যাচার ও দূরনীতির মামলা দায়ের করা হয়েছে ।