অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

টুঙ্গিপাড়া হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বাঙালির তীর্থস্থান

প্রকাশিত: ০১:০২ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০২০ মঙ্গলবার  

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এমপি বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বাঙালির জন্য টুঙ্গিপাড়া তীর্থস্থান।

স্থানীয় উন্নয়ন পরিকল্পনায় পর্যটনকে সম্পৃক্তকরণ ও পর্যটন সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে সোমবার (২৪ আগস্ট) বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড'র উদ্যোগে গোপালগঞ্জ জেলার সাথে আয়োজিত অনলাইন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি অবস্থিত। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বাঙালির তীর্থস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া।

পর্যটককেরা যাতে গোপালগঞ্জে এসে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিধন্য স্থানসমূহ নির্বিঘ্নে ও স্বাচ্ছন্দে পরিদর্শন করতে পারেন তার পরিবেশ সৃষ্টি করা আমাদের কর্তব্য। আমাদের দায়বদ্ধতার অংশ, বলেন তিনি। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুসারে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে উল্লেখ করে পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন,  এজন্য যত ধরনের প্রকল্প নেয়া দরকার তা নেয়া হবে। পর্যটনের প্রকল্পের ক্ষেত্রে গোপালগঞ্জ-কে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করা হবে বলেও জানান তিনি।

মাহবুব আলী বলেন, গোপালগঞ্জের বোর্নি বিল,পদ্মা বিল ও শাপলা বিলের সৌন্দর্য যাতে মানুষ ভালোভাবে উপভোগ করতে পারে সে জন্য সেখানে টাওয়ার নির্মাণের ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ।

 এছাড়াও, বোর্নি বিলকে কেন্দ্র করে পর্যটন কেন্দ্র তৈরি বিষয়টি যাতে পর্যটন মহাপরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত থাকে সেই ব্যাপারেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। 
তিনি বলেন, গোপালগঞ্জের পর্যটন গন্তব্যসমূহে পর্যটকদের সুবিধা বাড়াতে আরো সমৃদ্ধ করার জন্য কাজ করা হবে। গোপালগঞ্জে অবস্থিত পর্যটন করপোরেশনের মোটেলটি উন্নত করা হয়েছে। এটিকে সংস্কার করে আরো বড় করা হবে। এর সৌন্দর্য বর্ধন করা হবে। দেশি-বিদেশি পর্যটকেরা যাতে আরামদায়কভাবে সেখানে থাকতে পারে সেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের পরিচালক আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের এর সঞ্চালনায় ও গোপালগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানার সভাপতিত্বে কর্মশালায় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ, জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যম কর্মী, বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা ও পর্যটনের সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন সেক্টরের অংশীজনরা বক্তব্য রাখেন।