অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

বেসরকারি স্কুল-কলেজে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ স্থগিত

অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৮:১৮ পিএম, ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ রোববার  

বেসরকারি স্কুল-কলেজে নিয়োগে শৃঙ্খলা আনতে এবার চুক্তিভিত্তিক প্রধান শিক্ষক বা অধ্যক্ষ নিয়োগ স্থগিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এত দিন এমপিও না নেওয়ার শর্তে সরকারের অনুমোদন নিয়ে চুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান প্রধান নিয়োগের সুযোগ ছিল।

গত ১১ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ থেকে এ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিষয়টি স্থগিত করা হয়।

এতে বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল-কলেজের) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ এর ১১.১১ অনুচ্ছেদে উল্লিখিত ‘তবে ঐতিহ্যবাহী ও মানসম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে এবং সরকারের কোনো আর্থিক সুবিধা বা এমপিও না নেওয়ার শর্তে সরকারের অনুমোদনক্রমে শুধু প্রতিষ্ঠানপ্রধানের ক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানকে আর্থিকসহ সব দায়ভার বহন করতে হবে এবং সরকার এর কোনো দায় বহন করবে না। এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের চুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান প্রধানের মেয়াদ সরকারের আর্থিক সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও কোনোক্রমেই ৬৫ বছরের বেশি হতে পারবে না।’ নীতিমালার এ অংশটুকুর কার্যকারিতা স্থগিত করা হলো।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক ( কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, স্কুল-কলেজের অধ্যক্ষ প্রধান শিক্ষক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের কারণে নানান ধরনের জটিলতা তৈরি হয়। এ জটিলতা কমিয়ে আনতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল-কলেজ) প্রধানদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ স্থগিত করা হয়েছে। এর ফলে কেউ চাইলে নির্দিষ্ট সময়ের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।

জানা যায়, এমপিও নীতিমালা-২০২১ এ প্রতিষ্ঠান প্রধানদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিধান রাখা হয়েছিল। এমপিও নীতিমালা অনুসারে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর। তবে সমপদে বা উচ্চতর পদে (উচ্চতর পদ বলতে শুধু প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহকারী প্রধান বোঝাবে) নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা শিথিলের সুযোগ ছিল।

বর্তমানে দেশে বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩৪ হাজার। এগুলোর মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২০ হাজার ৩১৬টি, কলেজ ২ হাজার ৬৬৪টি, আলিয়া মাদ্রাসা ৯ হাজার ২৯২টি। বাকিগুলো কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।